আগামী ২২ জানুয়ারি রাজ্যের চার পুরনিগমের ভোট (Corporation Election)। শাসক দল তৃণমূল (TMC) ইতিমধ্যেই প্রতিটি পুরসভার পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। শিলিগুড়ির প্রার্থী আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল, আর বছরের একেবারে শেষদিনে আসানসোল, বিধাননগর ও চন্দননগরের জন্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল বিজেপি (BJP)।
আরও পড়ুন:প্রতিষ্ঠা দিবসে দলের নেতা ও কর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইট মমতার, জানালেন নতুন বছরের শুভেচ্ছাও
রাজনৈতিক মহলের নজর ছিল ১০৬ ওয়ার্ড বিশিষ্ট আসানসোলের (Asansol Corporation) দিকে। যেখানে গত কয়েক বছরে রাজনীতির সমীকরণটাই বদলে গিয়েছে। একদা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি (Jitendra Tiwari) বিধানসভা ভোটের আগে দলবদলে যেমন নাম লিখিয়েছেন বিজেপিতে, অন্যদিকে ভোটের পরে বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo) জার্সি বদলে ধরেছেন ঘাসফুলের পতাকা। তাই মনে করা হয়েছিল জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে মুখ করেই আসানসোল পুরনিগমে লড়াইয়ের ময়দানে নামবে গেরুয়া শিবির। তবে প্রার্থী তালিকায় নাম নেই জিতেন্দ্রর। যদিও বিজেপির তালিকায় বেশ জোরালো ভাবে তাঁর ছায়া রয়েছে। একইভাবে দলের আরেক প্রভাবশালী নেতা কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় ভোটে দাঁড়াননি।
২৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জিতেন তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালি তেওয়ারি লড়বেন বিজেপির টিকিটে। তিনি পেশায় আইনজীবী ও সমাজকর্মী। শুধু চৈতালি তেওয়ারি নয়, জিতেন্দ্র ঘনিষ্ঠরাও রয়েছে প্রার্থী তালিকায়। পাশাপাশি বিজেপির বিদায়ী কাউন্সিলররাও রয়েছেন লড়াইয়ের ময়দানে। আবার প্রাক্তন সাংসদ তথা অধুনা তৃণমূল নেতা
বাবুল সুপ্রিয়র ঘনিষ্ঠরা খুব স্বভাবিকভাবেই বাদ গিয়েছেন প্রার্থী তালিকা থেকে। আবার প্রাক্তন বিজেপি জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘড়ুইয়ের ঘনিষ্ঠ সমস্ত কর্মীদের নাম দেখা যাচ্ছে প্রার্থী তালিকায়।
আসানসোলে গেরুয়া সংগঠন এখন কার্যত নব্য ও তৎকাল। বিজেপির দখলে। জিতেন্দ্র তেওয়ারির হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন যে কাউন্সিলর ও তৃণমূল নেতা-কর্মীরা, তাঁদের অনেকেই প্রার্থী হয়েছেন। বিশেষ করে প্রাক্তন কাউন্সিলর অভিজিৎ আচার্য্য, ইন্দ্রাণী আচার্য্য, অমিত তুলসীয়ান আদর্শ শর্মা, প্রাক্তন তৃণমূল নেতা গৌরব গুপ্তা, অনুপ চট্টরাজরা টিকিট পেয়েছেন।
এদিকে দলের যাঁরা পুরোনো দিনের সৈনিক, প্রার্থী তালিকায় তাঁরা গুরুত্ব না পাওয়ায় বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বিজেপির অন্দরে। আসানসোলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরই।এলাকার পরিচিত যুবনেতা সুদীপ চৌধুরী ক্ষোভ প্রকাশ করে দল ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তাঁকে ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডে টিকিট দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিন ৪২ নম্বরে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। দল সেটা না মানায় নির্দল হয়েই নিজের পছন্দের ৪৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে লড়াইয়ের কথা জানিয়েছেন সুদীপ চৌধুরী।