১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চরম সীমায় পৌঁছবে দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ: IIT মাদ্রাজ

দেশজুড়ে করোনা(Corona) সংক্রমণ ভয়াবহ আকার নিয়েছে। ইতিমধ্যে বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে ভারতে(India)। এরই মাঝে আশঙ্কার কথা শুনিয়ে আইআইটি মাদ্রাজের(IIT Madras) গবেষকরা পূর্বাভাস দিলেন, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে করোনা সংক্রমণ চরম আকার ধারণ করবে দেশে। আর-নট ভ্যালু বিচার করে সম্প্রতি এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে দেশে এই আর-নট ভ্যালুর(R-Naught value) সূচক ছিল ৪।

কোনও দেশের আর-নট ভ্যালু থেকে আভাস পাওয়া যায় কোন একজন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি কতজন মানুষের শরীরে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। এই আর-নট ১-এর নিচে নেমে গেলে ধরা যেতে পারে অতিমারি পরিস্থিতি কেটে গিয়েছে। সম্প্রতি আইআইটি মাদ্রাজের গবেষকরা কম্পিউটেশনাল মডেলিং পদ্ধতির মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে দেখেছেন গত সপ্তাহে ২৫ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের আর-নট ভ্যালু ছিল ২.৯। চলতি সপ্তাহে ১ জানুয়ারি থেকে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত আর-নট ভ্যালু বেড়ে হয়েছে ৪। যে স্বাভাবিক ভাবেই অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এর থেকে একটা বিষয় অত্যন্ত স্পষ্ট যে দেশে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ।

আরও পড়ুন:দাবানলের চেহারায় করোনা, পুরভোটে রাজনৈতিক দলগুলিকে সভা না করার পরামর্শ কমিশনের

এ প্রসঙ্গে আইআইটি মাদ্রাজের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ডঃ জয়ন্ত ঝাঁ জানান, আর-নট ভ্যালু মূলত তিনটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। সংক্রমণের সম্ভাবনা, কতটা ছড়াচ্ছে সেই হার এবং কতটা সময়ের ব্যবধানে এই সংক্রমণ ঘটছে। অধ্যাপক জয়ন্ত ঝাঁ আরও বলেন, “এই বিশ্লেষণমূলক গবেষণা থেকে আমরা আশা করছি, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংক্রমণের গ্রাফ শীর্ষে যেতে পারে। আমাদের বিশ্লেষণ থেকে এটিও বোঝা যাচ্ছে, পূর্ববর্তী ঢেউয়ের তুলনায়, এবারের ঢেউয়ে সংক্রমণ বৃদ্ধির গ্রাফ তীব্র হবে।”

যদিও আশার কথা শুনিয়ে তিনি আরও বলেন, এই ঢেউটি আগের ঢেউয়ের থেকে অনেকটাই আলাদা হবে। কারণ, দেশের টিকাকরণ প্রক্রিয়ায় এক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাঁর কথায়, “এখানে সুবিধা হল, এই সময়ে জনসংখ্যার প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষ টিকা পেয়েছেন।”

Previous articleArijit Singh: করোনায় আক্রান্ত সস্ত্রীক অরিজিৎ সিং, রয়েছেন হোম আইসোলেশনে
Next articleদাপুটে অভিনেত্রী মঞ্জু দে