কেন্দ্রের জন বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে সংসদের ভিতরে-বাইরে আন্দোলনের ঝড় তুলতে নির্দেশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে এবার সর্বাত্মক আন্দোলনে নামছে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)।  বৃহস্পতিবার সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে এই নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ৩১ জানুয়ারি থেকে সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হচ্ছে। তার আগে এদিন দলের সব সাংসদদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

বৈঠক শেষে কালীঘাটে (Kalighat) সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Banerjee) বলেন, দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে সাধারণ মানুষ যা আশা করেন তা পূরণ হচ্ছে না। বিজেপি সরকার প্রতিপদে রাজ্যের কাজে বাধা সৃষ্টি করছে, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় যা কাম্য নয়। এছাড়াও  দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার আইএস ও আইপিস অফিসারদের সব তুলে নিয়ে যেতে চাইছে।  এটা হতে দেওয়া যায় না। কোভিডের (Covid 19) সময় বাংলা (West Bengal) তার প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এসব নিয়ে লোকসভা এবং রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা তীব্র প্রতিবাদ জানাবেন। সংসদের বাইরেও প্রতিবাদে সামিল হবেন সকলে।

প্রতিবাদ জানানো হবে বাংলার রাজ্যপালের (Governor Jagdeep Dhankhar) জঘন্য ভূমিকা নিয়ে। তিনি যা করছেন।  যে পর্যায়ে পুরো বিষয়টিকে নিয়ে গিয়েছেন তাতে তাঁর নিজেরই পদত্যাগ করা উচিৎ। লোকসভা ও রাজ্যসভা দুজায়গাতেই রাজ্যপালের কাজকর্ম নিয়ে সরব হবেন দলের সাংসদরা। সবকিছু নিয়েই প্রয়োজনে অন্যান্য বিরোধী দলের সঙ্গে অন স্পট ফ্লোর কো-অর্ডিনেশন করা হবে। তাতে কংগ্রেস থাকলে কোনো অসুবিধে নেই। বক্তব্য সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

আরও পড়ুন: SSKM-এ সন্ধ্যাকে দেখে গেলেন মমতা, করোনা আক্রান্ত ‘গীতশ্রী’কে অ্যাপোলোয় ভর্তির সিদ্ধান্ত

গোয়ার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি ও সাংসদ লুইজিনহ ফালেরিও এদিন ভার্চুয়াল বৈঠকে ছিলেন। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ফালেরিও দলকে জানিয়েছেন,  গোয়ায় কোনো একক দল ক্ষমতায় আসবে না। অনেকের মিলিত সরকার হবে। সেক্ষেত্রে ভোট পরবর্তী পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের মতো দলের গুরুত্ব বাড়বে।

এদিনের বৈঠকে দলনেত্রী  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, ২ ফেব্রুয়ারি দলের সাংগঠনিক নির্বাচনের জন্য  সমস্ত সাংসদকে  ওই দিন নেতাজী ইনডোরে থাকতে হবে। সংসদ চলবে সে সময় তাই রাজ্যসভায় দলের দুই সাংসদ জহর সরকার ও সুখেন্দু শেখর রায় আর লোকসভার জন্য সাংসদ সৌগত রায় দিল্লিতে থাকবেন৷

এদিন নেত্রী কালীঘাটের বাড়ি থেকে ভার্চুয়ালি ছিলেন।  নেত্রীর বাড়ি থেকেই বৈঠকে ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সাংসদ সুব্রত বক্সি ও সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।  তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর কালীঘাটের ফ্ল্যাট থেকে ভার্চুয়ালি ছিলেন। বাকি সব সাংসদরাও সকলে বিভিন্ন জায়গা থেকে ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দেন।

 

Previous articleকনভয় আটকাল পুলিশ, রাস্তায় বসে বিক্ষোভ শুভেন্দুর
Next articleWeather Forecast: পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব কাটতেই বরফের চাদরে ঢেকেছে কালিম্পং, কার্শিয়াং! ফের সরস্বতী পুজোতে বৃষ্টির পূর্বাভাস