৫ বছরের মোদি শাসনে ‘ধনকুবের’ বিজেপি, সম্পত্তি ৬ গুণ বেড়ে হয়েছে ৫ হাজার কোটি

কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে বিজেপির(BJP) সম্পত্তির বহর। মোদি(Narendra Modi) শাসনে মাত্র পাঁচ বছরে ৫ হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছে গেরুয়া শিবির। পরিমাণ এতটাই যে দেশের ৫০ টি সর্বভারতীয় ও আঞ্চলিক দলের মিলিত সম্পত্তির চেয়েও বিজেপির টাকার অংক অনেক বেশি। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে সর্বভারতীয় ও আঞ্চলিক দলগুলির পেশ করা সম্পত্তির খতিয়ান বিশ্লেষণ করে এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস (এডিআর)।

এডিআর-এর পেশ করা রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে বিজেপির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৪ হাজার ৮৪৭ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা। যেখানে বাকি ৬টি সর্বভারতীয় ও ৪৪টি আঞ্চলিক দলের মিলিত সম্পদ ৪ হাজার ২৭০ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ, বিজেপির একক সম্পত্তি বাকিদের তুলনায় ৫৭৭ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা বেশি। দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দলের মোট সম্পত্তির ৫৩.১৬ শতাংশ বিজেপির ঘরে। অথচ মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার সময় বিজেপির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল মাত্র ৭৬০ কোটি টাকা। যার অর্থ পাঁচ বছরে ৬ গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে মোদি-শাহের দলের সম্পত্তি।

আরও পড়ুন:কয়েক কোটি টাকার তেলিয়া ভোলা মৎসজীবীদের জালে

প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে, সম্পত্তির নিরিখে বিজেপির পর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিএসপি। মায়াবতীর দলের হাতে রয়েছে ৬৯৮ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকার সম্পদ। তৃতীয় স্থানে থাকা সোনিয়া গান্ধীর দলের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৫৮৮ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা। বাকি সর্বভারতীয় দলগুলির মধ্যে সিপিএম ৫৬৯ কোটি ৫২ লক্ষ, তৃণমূল কংগ্রেস ২৪৭ কোটি ৭৮ লক্ষ, সিপিআই ২৯ কোটি ৭৮ লক্ষ এবং এনসিপি ৮ কোটি ২০ কোটি টাকার সম্পত্তির অধিকারী। সাতটি সর্বভারতীয় রাজনৈতিক দলের মিলিত সম্পদ ৬ হাজার ৯৮৮ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকা। তার মধ্যে শুধুমাত্র বিজেপির হাতেই ৪ হাজার ৮৪৭ কোটি টাকার বেশি। অর্থাৎ, সাতটি সর্বভারতীয় দলের মিলিত সম্পত্তির ৬৯.৩৭ শতাংশই মোদি-অমিত শাহের দলের কাছে। এর পাশাপাশি সাতটি সর্বভারতীয় ও ৪৪টি আঞ্চলিক দল ধারদেনার যে হিসেব প্রকাশ্যে এসেছে, তার মিলিত পরিমাণ ১৩৪ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা। এই তালিকায় শীর্ষে কংগ্রেস। সামগ্রিকভাবে ৪৯ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকার ঋণ রয়েছে সোনিয়া গান্ধীর দলের। তৃণমূলের ঋণ ১১ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা।

Previous articleHealth: সঠিক পরিমাণে খাবার খান, আর নিজেকে সুস্থ রাখুন, পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা
Next articleস্থিতিশীল গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা