Viral Owl: প্যাঁচা কয় প্যাঁচানি! এক সপ্তাহের চেষ্টায় ফ্রেমবন্দি যুগল

প্রকৃতির কোলে অপরুপ দৃশ্য ফ্রেম বন্ধী । ভালোবাসায় জড়িয়ে রয়েছে প্যাঁচা যুগল।

এই প্রকৃতির (Nature) আনাচে কানাচে, কতই না বিস্ময় ছড়িয়ে আছে! হাজার ব্যস্ততার ভিড়ে ক্ষণিক থমকে দাঁড়িয়ে কতদিন চারপাশের দৃশ্য (Beauty) দেখিনা আমরা। অথচ ছবি (Photography) তোলার নেশায় মত্ত মন টানা সাত দিন ধরে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেছে, একটা পিকচার পারফেক্ট (Photography) শটের জন্য। কয়েক ক্লিকেই যা পৌঁছে গেছে কয়েক হাজার মানুষের কাছে। ভাইরাল (Viral) হয়েছে নিরালা নিভৃতে গাছের ডালে বিশ্রামরত একান্ত আপন দুই প্যাঁচা। খুশি মহারাষ্ট্রের (Maharastra) বাসিন্দা ফোটোগ্রাফার (Photographer) অশ্বিন কেঙ্কারে।

আরও পড়ুনঃ কোভিড পর্বে দেশে কারও আর্থিক দুরবস্থা ছিল না: উত্তরপ্রদেশে সীমাহীন মিথ্যাচার শাহের

কথায় বলে, ভাষা নয় বরং নীরব অনেক ছবিই যেন অজান্তে শুনিয়ে যায় শব্দের কুহুতান। ভালোবাসা যে শব্দে নয় অনুভূতিতে বুঝতে হয়। তাই তো ‘রিয়েল লাইফ লভ-বার্ড’ কে (Real Life Love bird) ক্যামেরার সামনে পেয়ে উচ্ছ্বসিত ফোটোগ্রাফার (Photographer) অশ্বিন কেঙ্কারে। জানা যায়, তিনি সম্প্রতি ভান্ডারায় তাঁর শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলেন।রাতে জাতীয় সড়ক ধরে ফেরার পথে হঠাৎই তাঁর নজরে আসে এক জোড়া প্যাঁচা।গাছের ডালে নিভৃতে একে অন্যের সাথে বসে আছে তারা। যেন ভালোবাসার পরশে দুজনে দুজনকে জড়িয়ে আছে। ফোটোগ্রাফার মন নিজেকে আর আটকে রাখতে পারেননি।পরদিন ভোর হতে না হতেই ক্যামেরা নিয়ে ওই গাছের সামনে হাজির হন অশ্বিন। তিনি বলছেন, “ভাবতে পারিনি যে ওই একই ভাবে বসা অবস্থায় প্যাঁচা দু’টিকে দেখতে পাব। তবে ওরা অন্য ডালে গিয়ে বসেছিল। সকালে এত কুয়াশা ছিল যে ওদের ছবি ঠিক মতো তুলতে পারিনি।” সেদিনের মতো অবশ্য কয়েকটা ছবি তুলেই থেমে যেতে হয় তাঁকে।কিন্তু প্যাঁচা দু’টির ছবি তোলার নেশা যেন জেদ হয়ে চেপে বসেছিল অশ্বিনের মনে। তাই ক্যামেরা নিয়ে রোজ ছুটে যাওয়া। একদিন, দুদিন, তিনদিন এই করে টানা ছয়দিন। না, কিছুতেই মিলছিল না মনের মতো ছবি। কিন্তু ধৈর্য্যের পরীক্ষাও যে একদিন শেষ হয়। তাই সপ্তম দিনেই এসে গেল কাঙ্ক্ষিত সুযোগ!

আরও পড়ুনঃ Mamata: দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কোর স্বীকৃতির উদযাপন, ১ সেপ্টেম্বর শ্যামবাজার থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা: মুখ্যমন্ত্রী

আকাশ পরিষ্কার। স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল প্যাঁচা দু’টিকে। যথেষ্ট আলোও ছিল ছবি তোলার মতো। দু’টি প্যাঁচার মধ্যে একটি তখন ঘুমে মগ্ন। অন্যটি আধখোলা চোখে তাকিয়ে রয়েছে। যেন এক জন আর এক জনকে পাহারা দিচ্ছে! এই স্বর্গীয় দৃশ্য দেখে চোখ ফেরাতে পারেননি অশ্বিন। তবে তিনি অপেক্ষা করেছিলেন দু’টি প্যাঁচা কখন চোখ খোলে তার জন্য। আবারও লেন্সে চোখ দিয়ে ধৈর্য্য ধরে বসে থাকা। কিন্তু টানা ৪৫ মিনিট অপেক্ষা করেও কিন্তু সেই শটের সৌভাগ্য হয়নি। অগত্যা ঘুমন্ত এবং আধঘুমন্ত প্যাঁচার ছবি তুলেই সন্তুষ্ট হতে হয় তাঁকে। তবে প্যাঁচারা যদিও ‘ড্যাব ড্যাব’ করে তাকায়নি তাঁর দিকে। তবে প্যাঁচা দু’টির আদুরে ছবি তুলেই বেশ প্রশংসা কুড়োচ্ছেন অশ্বিন।

 

Previous articleMilk: ডুমুরদহে দুধে ক্ষতিকর রাসায়নিক! ভেজাল কারবারে ধৃত ৩
Next articleতাজপুরে নতুন শিল্পের সম্ভাবনা রয়েছে, বাড়বে কর্মসংস্থান: মুখ্যমন্ত্রী