Sanjay Raut: সরকার ভাঙতে সাহায্য না করলে জেলে ভরার হুমকি দিচ্ছে ইডি, অভিযোগ সঞ্জয় রাউতের

তাঁর কথায়, “আমাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে। কিন্তু আমি তাতে সায় না দেওয়ায় হুমকি দেওয়া হয় এর জন্য বড়সড় মাসুল দিতে হবে। এমনকি এটাও বলা হয় যে, প্রাক্তন রেলমন্ত্রীর মতো আমারও হাজতবাস হতে পারে।”

মহারাষ্ট্রের সরকার ভাঙতে সাহায্য না করলে জেল হতে পারে তাঁর। হুমকি দিচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডায়রেক্টরেট(ইডি)। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডুকে চিঠি দিলেন শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত।

তিনি বলেছেন, “ইডি এবং অন্যান্য তদন্তকারী সংস্থার কর্মকর্তারা “এখন তাদের রাজনৈতিক প্রভুদের পুতুলে পরিণত হয়েছে” এবং কর্মকর্তারা এমনকি স্বীকার করেছেন যে “তাদের ‘বস’ দ্বারা আমাকে ‘ঠিক’ করতে বলা হয়েছিল।” কেন্দ্রীয় সরকারকে অভিযুক্ত করে শিবসেনা সাংসদ বলেছেন, ইডিকে অসাংবিধানিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সারা দেশে বিজেপির এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে ইডি। ক্রিমিনাল সিন্ডিকেট শুরু করেছে ওই তদন্তকারী সংস্থা। আমার মেয়ের বিয়ের ডেকোরেটরকে জেরা করছে ইডি।

তাঁর কথায়, “আমাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে। কিন্তু আমি তাতে সায় না দেওয়ায় হুমকি দেওয়া হয় এর জন্য বড়সড় মাসুল দিতে হবে। এমনকি এটাও বলা হয় যে, প্রাক্তন রেলমন্ত্রীর মতো আমারও হাজতবাস হতে পারে।”

চিঠিতে সঞ্জয় রাউত লিখেছেন, “প্রায় এক মাস আগে, কিছু লোক আমার সাথে যোগাযোগ করেছিল এবং মহারাষ্ট্রে রাজ্য সরকারকে পতনে তাদের সাহায্য করার জন্য বলেছিল। তারা চেয়েছিল যে আমি এই ধরনের প্রচেষ্টায় ভূমিকা রাখি যাতে রাজ্যকে একটি মধ্যবর্তী নির্বাচনে বাধ্য করা যায়। আমি ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করি। এর পরেই আমাকে সতর্ক করা হয়েছিল যে আমার প্রত্যাখ্যানের ফলে আমাকে খুব ভারী মূল্য দিতে হতে পারে। এমনকি আমাকে বলা হয়েছিল যে আমার ভাগ্য একজন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীর মতো হতে পারে যিনি বহু বছর কারাগারে বন্দি ছিলেন। এমনকি আমাকে সতর্ক করা হয়েছিল যে আমি ছাড়াও মহারাষ্ট্র রাজ্যের মন্ত্রিসভার অন্য দুই সিনিয়র মন্ত্রীর পাশাপাশি মহারাষ্ট্রের দুই সিনিয়র নেতাকেও পিএমএলএ আইনের অধীনে কারাগারের পিছনে পাঠানো হবে যা মধ্যবর্তী নির্বাচনের দিকে নিয়ে যাবে রাজ্যকে।”

সঞ্জয়ের অভিযোগ, ১৭ বছর আগে আলিবাগে প্রায় এক একর জমি কিনেছিলেন। যাঁর কাছ থেকে সেই জমি কিনেছিলেন তাঁকেও ইডি এবং অন্য তদন্তকারী সংস্থা গ্রেফতার এবং তাঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার ভয় দেখাচ্ছে। তাঁর কথায়, রাজ্যসভায় মনোনয়নপত্র পেশের সময় সম্পত্তির হিসেব দিয়েছিলাম। এত বছর ধরে কোনও প্রশ্ন তোলা হয়নি। হঠাৎ করে ইডি এবং অন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি এখন সেই সম্পত্তি নিয়ে তদন্ত শুরু করছে কেন?

সঞ্জয় রাউত বুধবার সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, “মুম্বইয়ের ইডি অফিসে কে যায়? ইডিকে কে ব্রিফিং করছে? কাদের ফাঁদে ফেলা হবে, কিভাবে পরিকল্পনা করা হচ্ছে, সে বিষয়ে অনেক তথ্য প্রকাশ করব। আমি কাকে ইশারা করছি, দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এটা ভালো করেই জানেন। আমাদের বাড়িতে ঢুকলে আমরা ছাড়ব না। আমরা আপনার বাড়িতে প্রবেশ করতে গেলে আপনি নাগপুর যেতে পারবেন না। আমি শীঘ্রই মুম্বাইতে ইডি অফিসের বাইরে হাজার হাজার লোকের সাথে একটি প্রেস কনফারেন্স করে সমস্ত প্রকাশ করব। মহারাষ্ট্রে সারা দেশে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মামলা দায়ের করে ইডি তদন্ত করছে। উত্তরপ্রদেশ, বিহারে কি কেলেঙ্কারি হচ্ছে না?

তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার মহারাষ্ট্রের সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায়। মহারাষ্ট্রে মধ্যবর্তী নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে, কিন্তু আমরা মহারাষ্ট্র সরকারের পতন হতে দেব না। মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন উদ্ধব ঠাকরে।

Previous articleSonu sood : হাইরোড থেকে আহতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন সোনু সুদ
Next articleDev : গরুপাচার কাণ্ডে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ অভিনেতা- সাংসদ দেবকে