রাজপুর-সোনারপুর পৌরসভায় উন্নয়নের বার্তাকে হাতিয়ার করে জয়ের অঙ্গীকার তৃণমূলের

আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সর্ববৃহৎ পৌরসভা রাজপুর-সোনারপুর হয়ে গেল তৃণমূলের কর্মিসভা। যেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলার চার কো-অর্ডিনেটর রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা তৃণমূলের জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী, বিধায়ক শওকত মোল্লা।

আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজপুর-সোনারপুর পৌরসভা ভোট উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার মহামায়াতলা জয়হিন্দ অডিটোরিয়ামে ৩৫টি ওয়ার্ডের প্রার্থী, স্থানীয় নেতৃত্ব এবং দলীয় কর্মী-সমর্থকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ এবং উপদেশ দিলেন দলের এই চার কো-অর্ডিনেটর। সামগ্রিকভাবে রাজ্য সরকারের এবং গত ৫ বছর পৌরসভার পুরপরিষেবা ক্ষেত্রে উন্নয়নের বার্তা নিয়ে মানুষের কাছে ভোটের আবেদন করতে হবে বলে জানালেন কো-অর্ডিনেটরা।

জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী বলেন, “সম্প্রতি, প্রগতি, একতা, আমাদের নেত্রীর নাম মমতা। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়তে হবে। ডোর টু ডোর প্রচারে জোর দিতে হবে। একই সঙ্গে ডিজিটাল প্রচারে জোর দিতে হবে।”

বিধায়ক কো-অর্ডিনেটর শওকত মোল্লা বলেন, “একুশের ভোটে যেভাবে বিরোধীদের মুখে মানুষ ঝামা ঘষে দিয়েছে, সেভাবেই উন্নয়নকে হাতিয়ার করে পৌরসভা ভোটের লড়াইয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। রাজপুর-সোনারপুর পৌরসভায় বিরোধীদের রাজনৈতিক ভাবে শূন্য রানে আউট করতে হবে।”

রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ কর্মিসভায় বলেন, “৩৫ আসন ৩৫টি জিততে হবে। কাজের নিরিখে ভোট। উপরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে সরকার, প্রশাসন, জেলা প্রশাসন। কেন্দ্রীয় সরকারের জন বিরোধী নীতির নেতিবাচক বিষয়গুলি মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে। একই সঙ্গে রাজ্য সরকারের জনমুখী প্রকল্প, পুর পরিষেবার দিকগুলিও মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “এমনিতেই জিতবেন। একুশের নির্বাচনে যে হিংস্রতার বিরুদ্ধে স্নায়ুর চাপ রেখে লড়াই করে আপনারা দলকে জিতিয়েছেন, আপনাদের কাছে এই পৌরসভা ভোট অনেক সহজ ব্যাপার। তাই ডিজিটাল প্রচার বাড়ান। এই জেলা তৃণমূলের দুর্গ। এই দুর্গ অটুট রাখতে হবে। যাঁরা আমাদের সমর্থক নয়, বামপন্থী বা আগে যাঁরা বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলেন, তাঁদেরকেও বোঝাতে হবে। কাছে টানতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৭ বারের সাংসদ, তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী। বাংলার মডেল গোটা ভারতের সামনেই তুলে ধরতে হবে।”

এদিন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, “এক একটি বাড়িতে তিনবার যেতে হবে। বয়স্কদের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতে হবে। আশীর্বাদ নিতে হবে। মানুষের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রাখতে হবে। আজ ভোটের আগে যাঁরা আপন, ভোটের পর তাঁরা যেন পর হয়ে না যায়।”

এছাড়াও সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়ক লাভলি মৈত্র বলেন, ৫ বছরের উন্নয়নকে হাতিয়ার করে মানুষের কাছে যেতে হবে। কর্মিরাই সম্পদ। সোনারপুর উত্তররের বিধায়কের বিগত বছরগুলিতে কাজের খতিয়ান তুলে ধরে মানুষের কাছে যাওয়ার বার্তা দেন।

এদিনের অনুষ্ঠানে কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন পৌরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান পল্লব দাস। ছিলেন জেলা শ্রমিক সংগঠনের নেতা শক্তি মণ্ডল, ডায়মন্ড হারবার-যাদবপুর জেলা তৃণমূলের মহিলা সভানেত্রী মনমোহিনী বিশ্বাস সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। কর্মীসভার এই অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন নজরুল আলি মন্ডল, যিনি নিজেও প্রার্থী।

আরও পড়ুন- War: সম্মুখে সমর! ইউক্রেন থেকে ভারতীয়দের ফেরাচ্ছে নয়াদিল্লি

Previous articleধাক্কা সামলে ঊর্ধ্বমুখী শেয়ারবাজার, ১৭৩৬ পয়েন্ট বৃদ্ধি সেনসেক্সের
Next articleSandhya Mukharjee: আচমকা কমেছে রক্তচাপ, ফের ICU-তে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়