সূর্যকান্ত VS রবীন: সিপিএমের জেলা সম্পাদক নির্বাচিত বেনাচাপড়া কঙ্কাল কাণ্ডের “নায়ক” সুশান্ত

জেলা সম্পাদক পদে প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্তকে চায়নি আলিমুদ্দিন স্ট্রিট

২০১১ সালে রাজ্যে রাজনৈতিক পালা বদলের পর ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু হয়েছে সিপিএম তথা বামেদের ক্ষমতা। রাজনৈতিকভাবে রক্তক্ষরণ হতে হতে বামেরা এমন একটা জায়গায় পৌঁছেছে যে, এখন সংখ্যার বিচারে কার্যত তারা “শূন্য”! কিন্তু দলীয় গণতন্ত্র ও দলের সাংগঠনিক কাঠামো ধরে রাখতে তৎপর সিপিএম।

বৃহস্পতিবার ছিল, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন। দলের অভ্যন্তরে ছিল টানটানা উত্তেজনা। কে হবেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক? তা নিয়ে দিনভর চর্চা। এ বারের সম্মেলনে জেলা সম্পাদক হওয়ার দৌড়ে ছিলেন মোট তিনজন। অবশেষে ডেবরার সম্মেলনে জেলা সম্পাদকের পদ পেলেন বেনাচাপড়া কঙ্কাল কাণ্ডে জেলখাটা “আসামী” তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষ।

সূত্রের খবর, জেলা সম্পাদক পদে প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্তকে চায়নি আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। যদিও প্রাক্তন জেলা সম্পাদক দীপক সরকার ও তাঁর শিবির আগে থেকেই সমর্থন জানিয়েছিল সুশান্ত ঘোষকে। কলকাতা থেকে সিপিএম নেতা রবীন দেব সুশান্তর সমর্থনে ছিলেন।

অন্যদিকে, রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র ও বিদায়ী জেলা সম্পাদক তরুণ রায় জেলা সম্পাদক পদে ডিওয়াইএফআই-এর প্রাক্তন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তাপস সিংহক মনোনীত করার জন্য জোরদার সওয়াল তুলেছেন। একইসঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা থেকে রাজ্য কমিটির এক সদস্য এই দৌড়ে সামিল করেছিলেন ঘাটালের সিপিএম নেতা তথা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অশোক সাঁতরার নাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাপস-অশোককে পিছনে ফেলে জেলা সম্পাদক হলেন সুশান্ত। আসলে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের অন্দরের রাজনীতির সমীকরণে, সূর্যকে মোক্ষম চালেই পরাস্ত করলেন রবীন।

আরও পড়ুন- কবে থেকে দেওয়া হবে মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড? জানাল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ

Previous articleনাবালিকা কিশোরী প্রেমের টানে সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশে, , কী হল পরবর্তীতে?
Next articleEntertainment: ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ মুক্তি নিয়ে সংশয়! প্রাণে মারার হুমকি পরিচালককে