সিএএ(CAA) আইনে পরিণত হয়েছে অনেকদিন হল। তবে এখনও পর্যন্ত এই আইন বলবৎ করেনি কেন্দ্রীয় সরকার(Central Govt)। যার জেরে বিজেপির ঘরের অন্দরেই উঠছে প্রশ্ন। সিএএ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ভুমিকায় ক্ষুব্ধ পশ্চিমবঙ্গের মতুয়া সম্প্রদায়ের(Matua) নেতৃত্বরা। সরব হতে দেখা গিয়েছে মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকে। এই ইস্যুতেই এবার মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ(Amit Shah)। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে ঘরের অন্দরের কোন্দল মেটাতে শাহ আশ্বস্ত করলেন, সিএএ আইন থেকে পিছু হঠার কোনও প্রশ্নই ওঠে না, করোনা থেকে মুক্তির পরেই আইন বলবৎ করতে উদ্যোগ নেবে কেন্দ্রীয় সরকার।

নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। প্রথম থেকেই এই আইনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। পাল্টা কেন্দ্র বলেছে, এই আইন কারওর নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার আইন নয়, নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন। যদিও তাই নিয়ে বিতর্কের কোনও সমাধান হয়নি। দেশের বিভিন্ন অংশে, এমনকী পশ্চিমবঙ্গে সিএএ বিরোধী আন্দোলন হয়েছে, আবার অন্য পক্ষের এক বিশাল সংখ্যায় মানুষ সিএএ-এর মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাওয়ার পক্ষেও সওয়াল করেছেন। তার পর সাময়িক ভাবে সিএএম ইস্যু জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপট থেকে ফিকে হয়ে গিয়েছে। বঙ্গ ভোটের আগে এই সিএএ-এর ফানুস দেখিয়ে মতুয়া সম্প্রদায়কে কাছে টেনেছিল বিজেপি। তবে এখনও পর্যন্ত এই ইস্যুতে কেন্দ্রের কোনও সক্রিয়তা না থাকায় বিষয়টি নিয়ে সরব হন মতুয়া প্রতিনিধিরা। এমনকি আন্দলনে নামারও হুঁশিয়ারি দেন। এরইমাঝে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শাহ জানালেন, করোনার কারণে এই বিষয়টি একটু থমকে আছে। কিন্তু রোগের প্রকোপ কমলেই এই নিয়ে পদক্ষেপ করবে সরকার।

আরও পড়ুন:Delhi: আনিসের রহস্যমৃত্যুতে দিল্লিতে প্রতিবাদের চেষ্টা SFI-এর, মিলল না সমর্থন

এর পাশাপাশি এদিনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে যোগী আদিত্যনাথ প্রসঙ্গে শাহ বলেন, আগে উত্তরপ্রদেশে রাজনীতি চলত জাত-পাত, ধর্মের ভিত্তিতে। যোগীর আমলে, সে সবে বদল এসেছে। অমিত শাহের দাবি, গত তিনটি নির্বাচন ধরে উত্তরপ্রদেশের মানুষ বিজেপির সঙ্গে রয়েছেন। মূলত এই সমর্থনের পিছনে চারটি কারণকে চিহ্নিত করেছেন তিনি। বলেছেন, উত্তরপ্রদেশে আইনশৃঙ্খলার উন্নতি, গরিব কল্যাণ, উন্নয়ন ও প্রশাসনিক স্তরে বদলের কারণেই মানুষ ঢালাও ভোট দিয়েছেন।

