শিক্ষায় বেসরকারিকরণে ‘সবুজ সঙ্কেত’ কেরলের, মুখে কুলুপ রাজ্য বামের

বাংলায় শিক্ষায় পিপিপি মডেলের ভুয়ো খবর চাউর হতেই রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ আন্দোলনে নেমেছিল বামেরা। যদিও সরকারের তরফে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল এই সংক্রান্ত খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা। অথচ এবার বাম শাসিত রাজ্য কেরল পুরোদমে শিক্ষায় বেসরকারিকরণের পথে হাঁটল। ইতিমধ্যেই শিক্ষা ক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থাকে বিনিয়োগের আবেদন জানিয়ে খসড়া প্রস্তুত করছে কেরলের পিনারাই বিজয়ন সরকার। সরকারের দাবি শিক্ষাক্ষেত্রে বেসরকারিকরণ নীতি রাজ্য শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও বেশি অত্যাধুনিক করে তুলবে। যদিও কিছুদিন আগে প্রতিবাদে নামা রাজ্য বাম এই ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছে।

সম্প্রতি দলের ২৩ তম কনফারেন্সে শিক্ষাক্ষেত্রে বেসরকারিকরণের বিষয়ে সবুজ সিগনাল দেয় বাম। এই সংক্রান্ত পলিসি ডকুমেন্ট পেশ করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। অথচ ২০১৮ সালের কনফারেন্সে এই নীতির তীব্র বিরোধিতা করেছিল বামেরা। হঠাৎ শিক্ষায় বেসরকারিকরণের পথে বামেদের এই আগ্রহ রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, শিক্ষাক্ষেত্রে বেসরকারীকরণের প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আসি যাই, মাইনে পাই’ ধারা কোনওভাবেই চলতে পারে না। এর জেরে শিক্ষাব্যবস্থায় ইতিমধ্যেই অনেক ক্ষতি হয়ে গিয়েছে, আর নয়।

আরও পড়ুন:প্রার্থনা চলাকালীন পাক মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, মৃত অন্তত ৩০ আহত বহু

এদিকে কেন্দ্রের বেসরকারিকরণ নীতির বিরোধিতায় সরব হওয়া বামেদের এহেন পদক্ষেপ বিতর্ক বাড়িয়ে তুলবে আন্দাজ পেয়ে বাম সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে, “উন্নয়নের জন্য বেসরকারি বিনিয়োগের সুবিধা নেওয়ার ক্ষেত্রে সিপিএম মনে করে রাষ্ট্রের স্বার্থ ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত হওয়াটা জরুরী। সিপিএম কখনোই ব্যক্তিগত বিনিয়োগের বিরুদ্ধে নয় তবে তা সরকারি ক্ষেত্রে সমস্ত সামাজিক স্বার্থ রক্ষা করে অনুমোদন হওয়া উচিত।”

এই ঘটনা প্রসঙ্গে কেরালায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা ওমেন চন্ডী বলেন, “প্রথমে যখন কৃষি ক্ষেত্রে যন্ত্রের ব্যবহারের বিষয়টি আসে তখন এরা তীব্র প্রতিবাদ করেছিল। নব্বইয়ের দশকে কম্পিউটারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামে এই বাম। শিক্ষাক্ষেত্রে বেসরকারিকরণের ধারণা যখন আসে শুরুতে তার প্রতিবাদ করেছে এরা। পরে সেটাকে ব্যবহার করেছে দায়ে পড়ে।” এদিকে বাংলায় শিক্ষাক্ষেত্রে পিপিপি মডেল সংক্রান্ত সম্প্রতি এক ভুয়ো নোটিফিকেশনকে কেন্দ্র করে রাজ্যে আন্দোলনে নেমে পড়া বাম এ বিষয়ে কোনরকম । এ বিষয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। রাজ্যের বামনেতা রবীন দেবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “এই ধরনের কোনও সিদ্ধান্ত কেরল সরকার নিয়েছে কিনা আমার জানা নেই। ফলে না জেনে এ বিষয়ে আমি কিছু বলবো না।”

Previous articleরাশিয়ার-ইউক্রেনের যুদ্ধে প্রাণ গেল দুই ফুটবলারের
Next articleIndia Team: শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দুরন্ত ইনিংস ঋষভ পন্থের, দিনের শেষে ভারতের রান ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৫৭