লকেট VS অগ্নিমিত্রা: দুই সেলিব্রিটি নেত্রীর সংঘাতে চওড়া ফাটল বিজেপিতে

বিদ্রোহী’ লকেটকে শিক্ষা দিতেই অগ্নিমিত্রাকে কৌশলে বাড়তি ‘স্টেটাস’ দিয়েছেন দিলীপ-সুকান্তরা

একের পর নির্বাচনে (Election) ভরাডুবি। রাজ্য কমিটির (State Committee) ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীকে নিশানা। গত শনিবার ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে (National Library) সাংগঠনিক বৈঠকে দলের লাগাতার ব্যর্থতা নিয়ে সরব হয়েছিলেন সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির (BJP) অন্যতম সাধারণ সম্পাদক লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। অজুহাত নয়, আত্মবিশ্লেষণ-ই পথ জানিয়ে জোরদার সওয়াল করেছিলেন। তাঁর সঙ্গে গলা মিলিয়ে ছিলেন আরও কিছু বিধায়ক, নেতানেত্রীরা। কিন্তু লকেটের (Locket Chatterjee) দেখানো পথ “আত্মসমালোচনা”- নয়, বরং রাজ্য বিজেপির (BJP) ভোট ম্যানেজারেররা নিজেদের ব্যর্থতা ধামাচাপা দিতে ভোট বিপর্যয়ের জন্য “সন্ত্রাস-ছাপ্পা” তত্ত্বকেই প্রতিষ্ঠা দিতে মরিয়া। এবং লকেটের  (Locket Chatterjee) অপ্রিয় সত্য কথা সহ্য করতে না পেরে সুকান্ত, দিলীপ, অমিতাভরা লকেটকেই (Locket Chatterjee) কাঠগড়ায় তুলে কোণঠাসা করতে তৎপর। এবং লকেটের বিরুদ্ধে এই কাজে তাঁদের হাতিয়ার দলের আরেক মহিলা নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল।

বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ দুই মহিলা নেত্রীর মধ্যে শুরু থেকেই ঠান্ডা লড়াইয়ের বিষয়টি গেরুয়া শিবিরের অন্দরে কারও অজানা নয়। এবার সেই সংঘাত আরও চরমে। সব মিলিয়ে লকেট VS অগ্নিমিত্রা লড়াই বঙ্গ বিজেপির অন্দরে ফাটল আরও চওড়া করছে। লকেট যখন আদি ও বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে নিয়ে আত্মবিশ্লেষণকে প্রকৃত পথ হিসেবে মনে করছেন, ঠিক তখনই হুগলির সাংসদকে একঘরে করতে অগ্নিমিত্রাকে এগিয়ে দিয়েছেন দিলীপ-সুকান্তরা।

আরও পড়ুনঃ Utrarpradesh- Election : আজ উত্তরপ্রদেশে শেষ দফার ভোট , দেশের নজর বারাণসী কেন্দ্রে

শনিবার ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে আয়োজিত সাংগঠনিক বৈঠকে বিজেপির দুই মহিলা শীর্ষ নেত্রীর পারস্পরিক বিভেদ আরও প্রকট হয়েছে। ওই বৈঠকে সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষদের সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করেছিলেন রাজনীতিতে তিন বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন অগ্নিমিত্রা পল। আর দিনের পর দিন আন্দোলন করে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা পাওয়া লকেট জায়গা পেয়েছিলেন বাকিদের মতো সাধারণ দর্শকে আসনে।

রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা বা জনপ্রতিনিধিত্বের মাপকাঠি, দুই ক্ষেত্রেই বঙ্গ বিজেপির নব্য অগ্নিমিত্রার তুলনায় অনেক এগিয়ে রয়েছেন লকেট। কারণ, দ্বিতীয় দফায় তিনি রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক এবং লোকসভার সদস্য। ২০১৭ থেকে ২০২০—এই তিন বছর বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী ছিলেন হুগলির সাংসদ। এবং তাঁর আমলে মহিলা মোর্চা এ রাজ্যে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

আরও পড়ুনঃ “আত্মবিশ্বাসী থেকো, সাফল্য তোমরা পাবেই”, মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর

অন্যদিকে, ২০১৯ সালের মার্চ মাসে বিজেপিতে যোগ দেন অগ্নিমিত্রা। তারপর কার্যত উল্কার গতিতে উত্থান ফ্যাশন ডিজাইনার অগ্নিমিত্রার। পরের বছরই লকেটের জায়গায় মহিলা মোর্চার সভানেত্রীর দায়িত্ব পান অগ্নিমিত্রা। এরপর একুশের বিধানসভার টিকিট। আসানসোল দক্ষিণ।কেন্দ্র থেকে জিতে এসেই নতুন রাজ্য কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ সম্পাদকের পদে বসেছেন। দলেরই একটা বড় অংশের দাবি, বর্তমান ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী জেনেবুঝেই লকেটকে অপমান করছেন। এবং ‘বিদ্রোহী’ লকেটকে শিক্ষা দিতেই অগ্নিমিত্রাকে কৌশলে বাড়তি ‘স্টেটাস’ দিয়েছেন দিলীপ-সুকান্তরা।

 

Previous articleWest Bengal: আজ সোমবার রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরু
Next articleRussia-Eucraine : এবার খারকিভের পরমাণু চুল্লিতে মিসাইল হামলা রাশিয়ার