Uttarakhand: ৪০০ বছর আগের অভিশাপের আতঙ্কে হোলি খেলেন না গ্রামবাসীরা! 

গ্রামবাসীদের বিশ্বাস রং খেললে রুষ্ট হন দেবী।

আজ চারিদিকে ফাগুনের আগুন, পলাশ আজ রং ধরিয়েছে মনের কোণে। বঙ্গ (Bengal)জুড়ে রং আর আবিরের মূর্ছনা। রাত পোহালেই হোলি(Holi), কথায় বলে বঙ্গের বসন্ত পূর্ণিমার পরের দিন সারা দেশ রং এর উৎসবে (Holi festival)মেতে ওঠে। কিন্তু এই রঙিন অনুভূতি আর মুহূর্তের অনেক দূরে সরিয়ে রাখেন উত্তরাখণ্ডের(Uttatakhand) তিন গ্রামের বাসিন্দারা।

জনশ্রুতি, উত্তরাখণ্ডের তিনটি গ্রাম ৪০০ বছরের অভিশাপ বয়ে নিয়ে চলেছে আজও , রুদ্রপ্রয়াগের(Rudraprayag) প্রত্যন্ত তিনটি গ্রামে দীর্ঘ ৪০০ বছর ধরে রং খেলা হয় না কারণ ‘হোলি’ তে মানা। স্থানীয়দের বিশ্বাস, গ্রামের যদি কেউ হোলি উৎসব (Holi festival)পালন করে, তবে গোটা গ্রামেই বড় কোনও বিপদ নেমে আসবে। প্রাকৃতিক বিপর্যয় বা মহামারি নেমে আসতে পারে। সেই কারণেই প্রতি বছর এই দিনটিতে গ্রামবাসীরা কার্যত গৃহবন্দি থাকেন।

Russia Ukraine War: ফুরিয়ে আসছে রসদ, ইউক্রেন হামলার তৃতীয় সপ্তাহে কপালে ভাঁজ রাশিয়ার

কিন্তু কেন এমন বদ্ধমূল ধারণা  গ্রামবাসীদের মনে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে মনে আসে প্রবাদ ” বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর”।  স্থানীয়দের বিশ্বাস, প্রায় ৪০০ বছর আগে দেবী ত্রিপুরা বালা ত্রিপুর সুন্দরী অভিশাপ দিয়ে গিয়েছিলেন। হোলি উদযাপনের অপরাধে শয়ে শয়ে মানুষ কলেরা ও চিকেন পক্সে মারা গিয়েছিলেন। প্রাণ বাঁচাতে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যান বাকিরা। পরে ফিরে এসে তাঁরা  দেবীর কাছে পুজো দিয়ে তাঁকে সন্তুষ্ট করেন। এরপর থেকেই ওই তিনটি গ্রামে হোলি খেলা নিষিদ্ধ।

স্থানীয় এক পুরোহিত জানান, এই তিন গ্রামের বাসিন্দারা মূলত কাশ্মীরের কুয়েলি, খুরজান ও জৈন্ডলা থেকে উত্তরাখণ্ডে চলে এসেছিলেন। তার আগে রাজপুতদের বিস্ত গোষ্ঠী এই গ্রামগুলিতে থাকতেন। কিন্তু আচমকাই মহামারি দেখা যায় গ্রামে। কলেরা ও চিকেন পক্সে মারা যান বহু মানুষ। সেই সময়ই গ্রামে এই প্রবাদ প্রচলিত হয় যে, ত্রিপুরা বালা ত্রিপুর সুন্দরীর অভিশাপেই মড়ক লেগেছে। কথিত আছে যে দেবী রং পছন্দ করতেন না। গ্রামবাসীরা রঙ খেলাতেই দেবী রুষ্ট হন এবং অভিশাপ দেন।

KKR: প্রকাশিত হল কেকেআরের নতুন জার্সি

রাজপুতদের চলে যাওয়ার পর পান্ডে গোষ্ঠী এই গ্রামে থাকতে আসেন, যদিও তা দীর্ঘস্থায়ী হয় নি। অবশেষে সাতটি পুরোহিত সম্প্রদায় এবং নেগী রাজপুতদের চারটি সম্প্রদায় কাশ্মীর থেকে আসেন এবং চামোলি জেলার কোঠা গ্রামে বসবাস করতে শুরু করেন। দেবীর অভিশাপের ওই প্রচলিত প্রবাদ জানার পরই তাঁরা চিরতরে হোলি উৎসব বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন। তাই ওই গ্রামের সীমানা যেখানে শেষ সেখানে অনেকেই উদ্যোগ নিয়ে রংয়ের উৎসবে মেতে ওঠেন, কিন্তু অংশগ্রহণ করেন না গ্রামবাসীরা।

 

Previous articleদোলের দিনে অন্য মুডে নেতা মন্ত্রীরা
Next articleউপাচার্যের বাসভবনের সামনেই বসন্ত উৎসবে মাতলেন বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা