নয়া নিয়ম কেন্দ্রের, ২৫ মার্চের পর নতুন স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্প ‘বন্ধ’ ডাকঘরে

আর্থিক বছরের শেষ ভাগে আয়কর(income tax) বাঁচাতে অনেকেই বিনিয়োগ করেন পোস্ট অফিসের স্বল্প সঞ্চয়ে। সেখানে ডাক বিভাগের তরফে জারি করা হল এক নয়া নির্দেশিকা। যাকে ঘিরে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, আগামী ২৫ মার্চের মধ্যে সব নতুন সঞ্চয় প্রকল্প চালু করতে হবে। অর্থাৎ, চলতি অর্থবর্ষে তারপর আর ডাকঘরের(post office) প্রকল্পে লগ্নি করা যাবে না বলেই মনে করছেন ডাক বিভাগের কর্তাদের একাংশ।

ব্যাঙ্কের জমা প্রকল্পগুলির চেয়ে সুদ বেশি মেলে ডাকঘরের সঞ্চয় প্রকল্পগুলিতে। গত এক বছরের উপর সেগুলিতে সুদের হার একই রেখেছে কেন্দ্র। ফলে আয়কর বাঁচাতে অনেকেরই ভরসা টার্ম ডিপোজিট, মান্থলি ইনকাম স্কিম বা এমআইএস, সিনিয়র সিটিজেন্স সেভিংস স্কিম, সুকন্যা সমৃদ্ধি, পিপিএফ বা ন্যাশনাল সেভিংস স্কিমের মতো প্রকল্পগুলি। ডাক বিভাগের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, নতুন সঞ্চয় প্রকল্প খুলতে যে ফর্মগুলি নেওয়া হয়েছে, সেগুলি চালু করতে হবে ২৫ তারিখের মধ্যে। এর অর্থ কী? দপ্তরের কর্তারা বলছেন, বহু ক্ষেত্রেই দেখা যায়, পোস্ট অফিস গ্রাহকের সঞ্চয় প্রকল্পের ফর্ম জমা নেয় ঠিকই, কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে সেগুলি চালু করে না। অথচ যেদিন ফর্ম জমা পড়ে, সেদিন থেকেই প্রকল্পগুলিতে সুদ জমা পড়ার কথা। ওই প্রকল্পগুলি চালুর সময়সীমাই বাঁধা হয়েছে ২৫ তারিখ। তবে এই যুক্তি উড়িয়ে দিয়েছেন এজেন্টরা।

আরও পড়ুন:Birbhum Fire: বীরভূমের অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যুর পেছনে কোনও রাজনীতি নেই, জানাল তৃণমূল

এ প্রসঙ্গে এজেন্টদের বক্তব্য, ২৫ তারিখের পর আর কোনও পোস্ট অফিস সঞ্চয় প্রকল্প জমা নেবে না। পোস্টমাস্টাররাই সেকথা জানিয়ে দিচ্ছেন। আরও একটি বিষয় হল, গ্রাহক যেদিন সঞ্চয় প্রকল্প কিনবেন, স্বাভাবিক নিয়মে সেদিন থেকেই তা চালু হওয়ার কথা। এর জন্য দিনক্ষণ বেঁধে দিয়ে নির্দেশিকা দিতে হয়? ২৫ তারিখের পর যদি কেউ বিনিয়োগ করতে চান, তাঁর কী হবে? পোস্টমাস্টাররা তা স্পষ্ট করে বলতে পারছেন না কেন? এই লগ্নিকারীদের জন্য তো ছ’দিনের কোপ পড়ে গেল! আমাদের বলা হয়েছে, ২৬ মার্চের মধ্যে রেকারিং ডিপোজিটের গ্রাহকের তালিকা জানিয়ে দিতে হবে। এমন কথাও কোনও দিন শুনিনি। কেন এসব হবে?’

এদিকে এই নির্দেশিকার প্রসঙ্গে কর্ম কর্তাদের একাংশ বলছে মার্চের একেবারে শেষ লগ্নে হুড়োহুড়ি ঠেকাতেই এটি চালু হয়েছে। তবে সেই যুক্তিও ধোপে টিকছে না। কারণ প্রতিবারই অর্থবর্ষ শেষের সময় চাপ থাকে। তাছাড়া চলতি মাসের শেষের দুদিন সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের সাধারণ ধর্মঘট। এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ পরিষেবা পেতে হয়রানির শিকার হবেন। কারণ পোস্ট অফিসগুলি কার্যত বন্ধ থাকবে। ফলে ভিড় কমানো তো দূরে থাক বরং বাড়ার কথা। ওই যুক্তির অর্থ হয় না। তবে কেন্দ্রের এই নয়া নির্দেশিকা স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা বাড়িয়েছে।

Previous articleBirbhum Fire: বীরভূমের অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যুর পেছনে কোনও রাজনীতি নেই, জানাল তৃণমূল
Next articleShakib Al Hasan: দেশের হয়ে কর্তব্য, পরিবারের সদস্য ভর্তি হাসপাতালে, তবু সিরিজ খেলেই দেশে ফিরবেন শাকিব