নাম ‘মধুর পঞ্চম সন্তান’! স্কুলে ভর্তি হতে পারল না শিশু

আধার কার্ডের নাম বিভ্রাটে স্কুলে ভর্তি হল না শিশু।

নাম দিয়ে যায় চেনা। সত্যিই তো নামই আমাদের পরিচিতি। কিন্তু সেই নামেই যদি বিভ্রাট হয় ওলটপালট হয়ে যেতে পারে সবকিছু। স্কুল ভর্তি থেকে অফিসের চাকরি, ব্যাঙ্কের কাজ সব কিছুই মূহুর্তে স্তব্ধ হয়ে যেতে পারে। এমনটাই ঘটল উত্তরপ্রদেশের (UP) বাসিন্দা দীনেশের মেয়ে আরতির ক্ষেত্রে। আধার কার্ডের (Adhaar Card) নামের ভুলে আরতির স্কুল ভর্তি হওয়া হল না।

আধার কার্ডের নাম বিভ্রাট নতুন কোনও ঘটনা নয়। এর আগেও বহুবার বহুজনের আধার কার্ডের নাম ভুল নিয়ে শোরগোল পড়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া উত্তাল হয়েছে, হেসে কুল পায়নি নেটিজেনরা, ব্যঙ্গ , বিদ্রুপ সবকিছুই হয়েছে। ‘তারক পাল’ আধার কার্ডে হয়েছেন ‘তার কপাল’। আধার কার্ডে বাবা-ছেলে, স্বামী-স্ত্রী-র নামের ওলটপালটের ঘটনা তো প্রায়ই শোনা যায়। সেই ভুল নামের গেরোয় পড়ে ল্যাজেগোবরে হতে হয়েছে অনেককে। কারণ আধার কার্ডের ভুল সংশোধনী খুব সহজ বিষয় নয়, অনেক হ্যাপা পোহাতে হয় তবেই সেই সংশোধন সম্ভব। এরকম গাফিলতি বার বার হওয়া সত্বেও সমাধান সূত্র কিছু বেরয়নি।

এবার সেই ভুলের খপ্পরে পড়ল আরতি। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বাদাউনের বিলসি তহসিলের রায়পুর গ্রামে। এই গ্রামের বাসিন্দা দীনেশ এবং মধু তাঁদের মেয়ে আরতিকে নিয়ে এসছিল প্রাথমিক বিদ্যালয় ভর্তি করতে। ভর্তির সময় নিয়মমাফিক আধার কার্ড চাওয়া হয়েছিল আরতির বাবা মায়ের কাছে। সেই আধার কার্ড দেখে রায়পুরের শিক্ষিকার চক্ষু চড়কগাছ। সেখানে তার নামের পরিবর্তে লেখা রয়েছে ‘মধু কা পাঁচওয়া বাচ্চা’ অর্থাৎ ‘মধুর পঞ্চম সন্তান’। এই আধার কার্ড জমা নেওয়া সম্ভব নয়। সুতরাং দীনেশের মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করাও সম্ভব নয় জানিয়ে দিলেন শিক্ষিকা একতা ভার্সনে। দীনেশকে কার্ড ঠিক করিয়ে আবার আসতে বলেন তিনি। এরপর শিক্ষিকারাই সোশ্যাল মিডিয়াতে এই বিষয় জনগণকে সতর্ক করেন। বাদাউনের জেলাশাসক দীপা রঞ্জন এই বিষয় জানিয়েছেন ব্যাঙ্ক এবং পোস্ট অফিসে আধার কার্ড তৈরি হয়। গাফিলতির কারণেই এই বিভ্রাট ঘটেছে বলে তিনি জানান। সেই সঙ্গে আশ্বাস দেন দোষ প্রমাণিত হলে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে সেই ব্যক্তিকে যাঁর বা যাঁদের কারণে এই বিভ্রাট।

Previous articleধনকুবের বিজেপি: দেশের ৮০ শতাংশ কর্পোরেট চাঁদা গিয়েছে গেরুয়া শিবিরের পকেটে
Next articleআরও বিপাকে ইমরান: ৩ মাসের মধ্যে ভোট নয় পাকিস্তানে, জানাল নির্বাচন কমিশন