Jhalda: ঝালদায় কংগ্রেসের কালা দিবসের মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার, আজই পুরবোর্ড গঠন

ঝালদায় কংগ্রেসের মিছিলকে কেন্দ্র করে তুলকালাম।  মঙ্গলবার কংগ্রেস ‘কালাদিবস’ পুরসভায় বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে কংগ্রেসের বিক্ষোভ মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। এরপর পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তি বেঁধে যায় মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের। এমনকী পুরসভার ভিতরে ঢুকে তাণ্ডব করেন কংগ্রেস কর্মীরা। পুরসভার চেয়ার তুলে ভাঙচুর চালান তাঁরা। এছাড়াও বাইরে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস কর্মীরা। এদিনের ঘটনার পর আগামিকাল, বুধবার ঝালদা বনধের ডাক দেয় কংগ্রেস।

আরও পড়ুন:কীভাবে নৃশংসভাবে খুন হলেন তৃণমূলের উপপ্রধান?

কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের পর অনৈতিকভাবে বোর্ড গঠনের অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার ‘কালা দিবসে’-র ডাক দিয়েছিল কংগ্রেস। এদিন মিছিলের নেতৃত্ব দেন কংগ্রেস নেতা নেপাল মাহাতো। মিছিলের একেবারে সামনেই ছিলেন নিহত কাউন্সিলরের স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। কালো ব্যাজ পরে বিক্ষোভে শামিল হন তিনি। কিন্তু পুরসভার কাছে আসার পর ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যেতে থাকলে পুলিশ মিছিলে বাধা দেয়। মিছিলকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধ্বস্তাধ্বস্তি বেঁধে যায়। যদিও পুরসভার ভিতরে ঢুকে শপথ নেন পূর্ণিমা কান্দু-সহ কংগ্রেসের ৪ কাউন্সিলর। অন্যদিকে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কংগ্রেস নেতা নেপাল মাহাতো সমেত আরও অনেকে।

পুলিশ মাইকিং করে অনুরোধ করেন, পুরবোর্ড গঠনের কারণে পুরসভার সামনে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাই পুরসভার সামনে কেউ যাতে ভিড় না করেন, তার জন্য বারেবারে পুলিশের তরফে আবেদন জানানো হয়। যদিও তাতেও কোনও লাভ হয়নি।

এদিন বোর্ড গঠনের আগে পূর্ণিমা কান্দু জানান, শপথ নিলেও বোর্ড গঠনকে মানছি না। শপথগ্রহণের দিনটিকেই কালাদিবস পালন করে প্রতিবাদ করেন নিহত কাউন্সিলরের স্ত্রী-সহ কংগ্রেস কর্মীরা। পুর নির্বাচনের পর মার্চ মাসের ১৩ তারিখ খুন হন তপন কান্দু। পুরবোর্ড গঠন করার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এরপর মঙ্গলবার পুরবোর্ড গঠন দিন হিসাবে ঘোষণা করা হয়।

Previous articleথ‍াইল‍্যান্ড ওপেন বক্সিং প্রতিযোগিতায় সেমিফাইনালে ভারতের মহিলা বক্সার মণিকা
Next articleইন্ডিগোর সহ-প্রতিষ্ঠাতা IIT কানপুরের প্রাক্তনী, ১০০ কোটির অনুদান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে