বিজেপির ‘দালালি’ করছেন রাজ্যপাল! কী বলছেন কুণাল

রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে (Governor Jagdeep Dhankhar) বিজেপির ‘দালাল’ বলে কটাক্ষ তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন,”রাজ্যপাল দুর্ভাগ্যজনক কাজ করছেন। বিজেপির দালালি করছেন। পায়ে পা দিয়ে সৌজন্যের বেড়া ভেঙে ঝগড়া করছেন। বিধানসভার ভিতরে এভাবে কুৎসিত ঝগড়া করা যায় তার নজির রাখলেন তিনি। যখন রাজ্য সারা ভারতে কাজের ক্ষেত্রে শ্রেষ্টত্বের শিরোপা পায় তখন তো তিনি অভিনন্দন জানান না৷ তখন তিনি দেখতে পাননা। গুজরাত ইউপিতে কী ঘটছে তিনি দেখতে পাননা? বাংলায় হিংসার ঘটনা অন্যরাজ্যের তুলনায় অনেক কম। নববর্ষের সূচনায় তিনি বাংলাকে বদনাম করছেন। এটা ঠিক নয়। ”

তিনি (Kunal Ghosh) আরও বলেন, “রাজ্যপাল (Jagdeep Dhankhar) হাইকোর্টের ঘটনা নিয়ে তথ্য বিকৃতি করছেন। কাউকে কোথাও কোনো চাপে রাখা হয়নি। অমিতাভ লালা বাংলা ছেড়ে পালা কারা বলেছিল.?  সিপিএম। আজ এরা সাধু সাজছে।  পোস্টার হুমকি কি হয়নি। মানুষ গণতন্ত্রের স্তম্ভ তাদের কাছে নিরপেক্ষ বিচার আশা করে। রাজ্যপাল খোঁজ নিন কোনও মামলার বিচারক যখন খুন হন সেটা কোন রজ্যে?  রাজ্যপাল বিজেপির চার আনা নেতাদের আধাসেনা কেন্দ্রীয় বাহিনী এসব নিয়ে ভাবুন আগে।”

ধর্ষনের ঘটনা নিন্দনীয় বলে উল্লেখ করেন কুণাল। তিনি বলেন,” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেস এর কঠোর সমালোচনা করে। এটা সামাজিক অপরাধ। ব্যক্তিগত অপরাধ। পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে। অন্য রাজের মতো নির্যাতিতার পরিবারকে মেরে দেওয়া এসব এখানে হয় না। তবে হিংসার ঘটনা আগের থেকে অনেক কমেছে। বাম আমলে কী হয়নি? সিঙ্গুরে তাপসী মালিকের ঘটনা, অনিতা দেওয়ানের ঘটনা। মনে পড়ে এসব?”

সৌগত রায়ের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কোনও মন্তব্য করলেন না কুণাল। বলেন, “তিনি জানেন অন্য রাজ্যের কী কী ঘটনা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী একটি ঘটনাও চান না। পুলিশকে বলেছেন রাজনৈতিক রঙ না দেখে গ্রেফতার করতে।”

আরও পড়ুন: রমজান মাসে রোজা ভাঙতে পারেন! মাথা মুড়িয়ে হিন্দু বাবার শ্রাদ্ধ আনোয়ারের 

এদিন কুণাল বলেন, “শতাব্দী রায় যা বলেছেন ঠিক বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মহিলা না পুরুষ এটা অপরাধের ক্ষেত্রে বিচার্য নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জ্যোতি বসুর মতো এরকম তো কতই হয় বলেন না। নন্দীগ্রামে একের পর এক খুন- ধর্ষণ হয়েছে। ব্যক্তিগত ঘটনা নিয়ে যারা কুৎসা করছেন যেসব নেতা তারা মনে রাখুন তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মহিলা ঘটিত ও রহস্যমৃত্যুর কেস আছে৷ এমন একজন নেতা আছেন তার কন্যার রহস্যমৃত্যু হয়েছে৷ তখন সিবিআই হয়নি কেন। জমি দখলের জন্য নারী নির্যাতন হয়েছে। এরা এখন কুৎসায় নেমেছেন। এসব কুরুচির কথা বলতে চাই না। একটি দলের দিল্লির নেতার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের জ্ঞান দিচ্ছেন। বেহালার দিকে থানায় কার বিরুদ্ধে কি অভিযোগ আছে।”

কুণাল এদিন মনে করিয়ে দেন, “কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে বিক্ষোভ হয়েছিল। এক তরুণী নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল আজ পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি। কোন আমলে এটা। আমরা চাই না একটাও ঘটনা ঘটুক৷ কার বাড়ি থেকে কে ঝাঁপ দেবে তার বেলা সিবিআই হবে না। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশ পাঠিয়ে গ্রেফতার করেছেন আর তার বিরুদ্ধে এসব কুৎসা বরদাস্ত করব না। সৌগত দার কথার পরিপ্রেক্ষিতে আমি কোনও কথা বলতে চাই না। বাংলা ভালো আছে।”



Previous articleই বাস-অটোর কারখানা তৈরি হতে চলেছে বাংলায় , লক্ষাধিক কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা
Next articleমুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের ‘নিজস্বিনী’ প্রকল্প: একছাতার তলায় 10 লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী