ধর্মীয় সম্মেলনে ঘৃণা ভাষণ: উত্তরাখণ্ড সরকারকে পদক্ষেপের নির্দেশ সুপ্রিমকোর্টের

Supreme Court

ধর্মীয় সম্মেলনের নামে সঙ্খ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে কোনও রকম ঘৃণা ভাষণ(Hate Speech) বরদাস্ত করা হবে না। বুধবার বিজেপি(BJP) শাসিত উত্তরাখণ্ডে(Uttarakhand) আয়োজিত হতে হতে চলেছে একটি ধর্ম সম্মেলন তার আগে কড়া ভাষায় এমনটাই নির্দেশ দিল সুপ্রিমকোর্ট(Supreme Court)। উত্তরাখণ্ড সরকারকে কড়া নির্দেশ দিয়ে আদালতের তরফে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যদি সঙ্খ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে কোনও রকম ঘৃণা ভাষণ দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে রাজ্যের মুখ্যসচিব তার দায় এড়াতে পারবেন না। এই ধরনের ঘৃণা ভাষণ রুখতে সমস্ত রকম পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে রাজ্য সরকারকে।

উত্তরাখণ্ডে ফের একবার বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর হরিদ্বার সহ একাধিক জায়গায় ধর্মীয় সম্মেলনের নামে সঙ্খ্যালঘুদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক ঘৃণা ভাষণ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, এইসব সম্মেলনের বেশকিছু ভিডিও ফুটেজও প্রকাশ্যে এসেছে যেখানে দেখা গিয়েছে ধর্মগুরুরা মঞ্চ থেকে সাধারণ মানুষকে নির্দেশ দিচ্ছেন মুসলিম নিধন করার। এই ধরনের ঘটনার পরও অভিযুক্ত ধর্মগুরুদের বিরুদ্ধে শুরুতে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি রাজ্যপুলিশ। বিতর্ক চূড়ান্ত আকার ধারন করার পর এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে তার জন্য কড়া ভাষায় রাজ্যসরকারকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

আরও পড়ুন:Ravindra Jadeja: ‘পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে না পারায়, হারের মুখ দেখতে হল চেন্নাইকে’, বললেন জাড্ডু

আদালতের তরফে স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়েছে, এই ধরনের ঘটনা রাতারাতি ঘটে না, আগে থেকে সব পরিকল্পনা করা হয়। সভাস্থল সময়সূচি সবকিছু সম্পর্কে অবগত থাকে প্রশাসন। এমনকি নির্দেশিকা থাকা সত্ত্বেও রাজ্যপ্রসাসন পদক্ষেপ নেয় না। প্রসঙ্গত, সোমবারও ধর্মীয় সম্মেলনের ঘৃণা ভাষণ সংক্রান্ত এক মামলায় হিমাচল প্রদেশ সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করে আদালত। জানানো হয়, “এই ধরনের কার্যকলাপ রুখতে সরকারকেই ব্যবস্থা নিতে হবে। আদৌ কোনও পদক্ষেপ করা হয়েছে কিনা, তা আদালতকে জানাতে হবে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সরকারকে।”




Previous articleদক্ষিণবঙ্গের তীব্র দাবদাহ থেকে নিজেকে ও পরিবারকে কীভাবে রক্ষা করবেন? একগুচ্ছ পরামর্শ নবান্নের
Next articleতাপপ্রবাহের জেরে এপ্রিলেই কী গরমের ছুটি? জরুরি বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিতে পারে শিক্ষা দফতর