এবার তৃণমূলের আন্দোলন মঞ্চে যাওয়ার ইঙ্গিত অর্জুনের, একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে কটাক্ষ দিলীপের

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানো চিঠিতে অর্জুন সিং লেখেন, 'একতরফাভাবে কাঁচা পাটের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দিয়েছে জুট কমিশন। আপনি এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুন।'

বাংলার পাট শিল্প ও শ্রমিকদের স্বার্থে সম্প্রতি কেন্দ্রের মোদির সরকারের অবহেলা ও উদাসীনতার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। এমনকি, পাটশিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলা-সহ চার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পর্যন্ত দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন। আবার আগামী ৪ মে কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে কলকাতার জুট কমিশনারের অফিস সামনে অবস্থান বিক্ষোভের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন। সেই আন্দোলন মঞ্চে যোগ দেওয়ার জোরালো ইঙ্গিত দিয়েছেন অর্জুন সিং। তৃণমূল আহবান জানালে তিনি ওই আন্দোলনে যোগ দিতে ইচ্ছুক বলে জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানো চিঠিতে অর্জুন সিং লেখেন, ‘একতরফাভাবে কাঁচা পাটের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দিয়েছে জুট কমিশন। আপনি এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুন।’

সংবাদ মাধ্যমকে অর্জুন সিং বলেন, ‘আমি একটা লড়াই শুরু করেছি। আমার লোকসভা এলাকায় বহু চটকলগ রয়েছে। বেশকিছু বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বাকিগুলি বন্ধের মুখে। ২০ হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে গিয়েছে। সবমিলিয়ে ৬০ হাজার মানুষ বেকার। তাঁদের পরিবারের কী হবে?’

দাবিপূরণ না হলে কি পুরনো দলে ফিরবেন? এ প্রশ্নের উত্তর অবশ্য কৌশলে এড়িয়ে গিয়েছেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ। তাঁর কথায়, ‘কেন্দ্র দাবি না মানলে অনেক কিছুই করার আছে। আন্দোলন করব। শ্রমিকদের নিয়ে জুট কমিশনারকে ঘেরাও করব। এই মানুষগুলিই আমায় ভোট দিয়েছেন। এদের জন্যই আজ আমি অর্জুন সিং।’ অর্থাৎ, ব্যারাকপুরের সাংসদের ইঙ্গিত স্পষ্ট। দাবিপূরণ না হলে কেন্দ্রের লাগাতার বিরোধিতা করবেন তিনি।

অন্যদিকে, পাট শিল্প ও শ্রমিকের স্বার্থে তাদের আন্দোলন মঞ্চে যে কেউ যোগ দিতে পারেন বলে ঘুরিয়ে অর্জুনকে বার্তা দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের আন্দোলন মঞ্চে আসেন কিনা সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ ২৪ ঘন্টা আগে দেওয়া তাঁর নিজের বিবৃতি থেকে একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে গেলেন। এর আগে দিলীপ ঘোষ অর্জুনের দাবিকে সমর্থন করলেও এবার দলীয় সাংসদকে কটাক্ষ করলেন তিনি। এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘শুনেছি আরও অনেক মুখ্যমন্ত্রীকে উনি চিঠি লিখেছেন। লড়ছেন লড়ুন। যদি কিছু ভালো হয়ে থাকে। কেন্দ্র সরকার যা সাবসিডি দিচ্ছে জুটে, এর আগে কেউ দেয়নি। সরকারকে একটা নির্দিষ্ট নীতি নিয়ে চলতে হয়। তবে এখানকার সমস্যাটা দিল্লি নিয়ে গেলে হবে না। এত বছর জুট থেকে যাঁরা কামিয়েছেন, এখন তাঁদের দায়িত্ব। সবাই কামাবেন আবার দায়িত্ব নেবেন না, কেন্দ্রের ঘাড়ে ফেলে দেবেন, এটা তো হতে পারে না।’

আরও পড়ুন:উল্টোডাঙা উড়ালপুল থেকে নীচে পড়ে গেল বাইক, জখম আরোহী হাসপাতালে

 

 

Previous articleউল্টোডাঙা উড়ালপুল থেকে নীচে পড়ে বাইক আরোহীর মৃত্যু
Next article২৫০ বছরের মন্দির সরানোর নির্দেশ রেলের, গণ-আত্মহত্যার হুমকি হিন্দুত্ববাদীদের