পাকিস্তানের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে আগ্রহী ভারত: তবে শর্ত দিলেন সেনাপ্রধান নারাভানে

ভারত(India) ও পাকিস্তান(Pakistan) নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার এক বছরেরও বেশি সময় পরে, ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল এম এম নারাভানে(M M Naravane) জানালেন, সীমান্তে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন কারও স্বার্থে নয় এবং ভারত পাকিস্তানের সাথে সুসম্পর্কের জন্য অনেক বেশি আগ্রহী। কিন্তু তাদেরকে (পাকিস্তান) প্রথমে সন্ত্রাসবাদের প্রতি তাদের সমর্থন এবং জম্মু ও কাশ্মীরের প্রতি আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণের প্রচেষ্টায় লাগাম দিতে হবে।

কয়েক সপ্তাহ আগে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া জানিয়েছিলেন, গত বছর নিয়ন্ত্রণরেখার পরিস্থিতি মোটামুটি শান্তিপূর্ণ ছিল এবং পাকিস্তান সরকার আলোচনার মাধ্যমে ভারতের সাথে কাশ্মীর সমস্যা সমাধান করতে প্রস্তুত। পাক সেনাপ্রধানের ওই বক্তব্যের পর দুই দেশের মধ্যে শত্রুতার পরিস্থিতি কাটিয়ে বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরিতে ইতিবাচক বার্তা দিলেন ভারতের সেনা প্রধান। একইসঙ্গে দিলেন শর্ত। উল্লেখ্য, শনিবার অবসর গ্রহণ করছেন জেনারেল এম এম নারাভানে। তার আগে একটি ইংরেজি দৈনিক পত্রিকার সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে জেনারেল নারাভানে জানান, “যখন আপনার প্রতিবেশী দেশ অস্থিতিশীল থাকে, তখন তা কাউকে সাহায্য করে না। আমাদের আশেপাশে অস্থিরতা সাহায্য করে না। আশা করি আমাদের পশ্চিম প্রতিবেশী যুক্তির আলো দেখতে পাবেন। আমরা তাদের সাথে সুসম্পর্ক রাখতে বেশি আগ্রহী, কিন্তু তাদের প্রথমে সন্ত্রাসবাদের প্রতি তাদের সমর্থন এবং জম্মু ও কাশ্মীরের প্রতি আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টাকে লাগাম টেনে ধরতে হবে।”

আরও পড়ুন:Pv Sindhu: স্বপ্নভঙ্গ সিন্ধুর, এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ পদকেই সন্তুষ্ট থাকতে হল ভারতীয় শাটলারকে

প্রসঙ্গত, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গে জেনারেল নারাভানে জানিয়েছিলেন “সীমান্তে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন কারও স্বার্থে নয়। আমাদের চারপাশে শান্তি এবং প্রশান্তি আমাদের লক্ষ্য। যদি আশেপাশের এলাকা স্থিতিশীল থাকে, তাহলে জাতি হিসেবে আমরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিরাপদ হয়ে উঠি। নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর অসামরিক জনগণ যুদ্ধবিরতি থেকে ব্যাপকভাবে উপকৃত হয়েছে এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে।”

এর পাশাপাশি পূর্ব লাদাখে ২০২০ সালের ঘটনা তুলে ধরে জেনারেল নারাভানে বলেন, চিনা সৈন্য শক্তি পূর্ব লাদাখে ৮,০০০ থেকে ৬০,০০০ এ বেড়েছে এবং আমাদেরও নিজস্ব মোতায়েন সমান পরিমাপে বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, যে ভারতীয় সেনাবাহিনী ভবিষ্যতে পিএলএ-এর যেকোনও পদক্ষেপের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। ২০২০ সালের জুনে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছিল চিনা হামলায়। কেন গালওয়ান ঘটনাটি ঘটল তা জানতে চাইলে জেনারেল নারাভানে বলেন, “আমরা চিনের পদক্ষেপ সম্পর্কে গত দুই বছর ধরে নিজেদেরকেও এই প্রশ্নটি জিজ্ঞাসা করছি, কিন্তু বুঝতে পারিনি। কেন এই ঘটনা (গালওয়ান হামলা) ঘটেছে। এটি কি অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক গতিশীলতার কারণে বা কোভিড মহামারী সম্পর্কিত চাপের কারণে চিন এই পদক্ষেপ নিয়েছে? আমরা জানি না।”




Previous articleঋণ নেওয়ার নামে অপহরণ, ৪ লক্ষ মুক্তিপণ দাবি: ২৪ ঘণ্টায় পুলিশের জালে ৬ দুষ্কৃতী
Next articleKolkata Police: এবার কলকাতা পুলিশের দিকে আঙুল তুলল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট