মেদিনীপুর কলেজকে স্বশাসনের অনুমতি দিতে রাজি, ‘লাটসাহেবের’ অনুমতি লাগবে: ধনকড়কে তীব্র কটাক্ষ মমতার

এবার ১৫০ বছর পূর্তি হবে মেদিনীপুর কলেজের। মঙ্গলবার, প্রশাসনিক বৈঠকে সেই কারণে তাদের দুটি ইচ্ছেতেই সায় দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার, পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি বলেন, কলেজের তরফে আমার কাছ থেকে দু’টি জিনিস চাওয়া হয়েছিল। এক, পরিস্রুত পানীয় জল। দুই, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিকে স্বাশাসনের অনুমতি। প্রথম দাবি পানীয় জলের সমস্যার সমাধান। এদিন বৈঠকেই এর সমাধান করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এটির দুটি ধাপ আছে। প্রথমে এটি বিধানসভায় পাশে করাতে হবে। এরপর, ‘লাটসাহেবের’ সই লাগবে। নাম না করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কেই (Jagdeep Dhankar) ভর্ৎসনা করে মুখ্যমন্ত্রী। কারণ, বিধানসভায় বিল পাশ হওয়ার পরে সেটি রাজ্যপাল সই না করলে বলবৎ করা যায় না। এক্ষেত্রের রাজ্যের একাধিক বিল রাজ্যপালের কাছে সইয়ের জন্য রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। সেগুলি তিনি বারবার ফেরত পাঠান বলেও অভিযোগ। সেই বিষয় নিয়েই রাজ্যপালকে এদিন তীব্র কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

শিক্ষাক্ষেত্রে মানোন্নয়ন ও পরিকাঠামোগত সংস্কারের পক্ষে সওয়াল করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আমলেই প্রেসিডেন্সি কলেজ পেয়েছে স্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা। এবার ঐতিহ্যমণ্ডিত মেদিনীপুর কলেজকেও স্বশাসনের অধিকার দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। জেলার প্রাচীন কলেজটিকে স্বায়ত্তশাসিত হওয়ার মর্যাদা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উচ্চশিক্ষার আধুনিকীকরণের পথে আরও একধাপ এগোলেন।

পাশাপাশি, মেদিনীপুর কলেজের (Medinipur College) জলের চাহিদা মেটাতে একটি পৃথক জলাধার তৈরি করে দেওয়া হবে। এর জন্য মেদিনীপুর কলেজ কর্তৃপক্ষকে কোনও টাকা খরচ করতে হবে না। পুরোটাই হবে সরকারের পক্ষ থেকে। অবিলম্বে জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দফতরকে ওই কাজ শুরুর নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে, কলেজের স্বশাসনের জন্য রাজ্য সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের কোনও খমতি করবে না, তা এদিন বুঝিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন- সম্পর্কে তৃতীয় কাঁটা: পল্লবীর মৃত্যুতে উঠছে সম্পত্তি হাতানোর তত্ত্ব

Previous articleঅনলাইন পরীক্ষার দাবিতে রবীন্দ্রভারতীতে তাণ্ডব, পুলিশ ডাকলেন উপাচার্য
Next articleজ্ঞানবাপী মসজিদ: শিবলিঙ্গের এলাকা সিল করে চলবে নামাজ, নির্দেশ সুপ্রিমকোর্টের