৮ বছর পূর্তি: সিমলায় কংগ্রেসকে তোপ দেগে সরকারের সাফল্য তুলে ধরলেন মোদি

চলতি বছরের শেষেই হিমাচল প্রদেশে(Himachal Pradesh) বিধানসভা নির্বাচন। এদিকে মোদি সরকারের ৮ বছর পূর্তি। তাই মঙ্গলবার সিমালায় গরিব কল্যাণ সম্মেলন কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে ‘রথ দেখা কলা বেচা’ একত্রে সারলেন প্রধানমন্ত্রী(Prime Minister) নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)। এদিন পূর্ববর্তী ইউপিএ সরকারকে তোপ দাগার পাশাপাশি নিজের সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠতে দেখা গেল মোদিকে।

এদিন গরিব কল্যাণ সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের ৮ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে সরকার একদিকে কোভিড-১৯ মহামারিতে অনাথ শিশুদের পাশে দাঁড়িয়েছে, অন্যদিকে দেশের ১০ কোটির বেশি কৃষককে ‘পিএম কিষাণ নিধি’র সাম্প্রতিক কিস্তির অর্থ দেওয়া হয়েছে। এরপরই তিনি বলেন, ‘শুধু ফাইল সই করার সময়ই আমি প্রধানমন্ত্রী, বাকি সময় দেশের ১৩০ কোটি মানুষের পরিবারের সদস্য। এই পরিবারই আমার জীবনে সব। আর এই জীবনও আপনাদের জন্যই’। পাশাপাশি আগের কংগ্রেস সরকারকে তোপ দেগে তিনি বলেন, কোথা থেকে শুরু করেছিলাম, তা মনে রাখা দরকার। তাহলেই কোথায় পৌঁছেছি তা উপলব্ধি করা যায়। ২০১৪-র আগে লুট, দুর্নীতি, পরিবারতন্ত্র, আটকে যাওয়া প্রকল্প এইসবেই ভরে থাকত খবরের হেডলাইন। সরকার দুর্নীতিকে সরকারি ব্যবস্থার অংশ বানিয়ে ফেলেছিল। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বদলে, তার সামনে মাথা ঝুঁকিয়েছিল। সরকারি প্রকল্পগুলির অর্থ, সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছনোর আগেই লুট হয়ে যেত। অর্থাভাবে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে পারতেন না দরিদ্ররা।”

একইসঙ্গে তিনি বলেন, “বর্তমানে চর্চা হয় সরকারি প্রকল্প থেকে পাওয়া সুবিধা নিয়ে। চর্চা হয়, গরীবের অ্যাকাউন্টে সরাসরি অর্থ পৌঁছনো নিয়ে। গোটা বিশ্বে আলোচনা চলে ভারতের স্টার্টআপ সংস্থাগুলির বিকাশ নিয়ে। বিশ্বব্যাঙ্কও ভারতে ব্যবসা করার স্বাচ্ছন্দের বিষয়ে চর্চা করে। দেশের মানুষ আলোচনা করে, অপরাধীদের শায়েস্তা করার বিষয়ে সরকারের শক্তি নিয়ে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের শূন্য সহনশীলতার নীতি নিয়ে।” পাশাপাশি তার দাবি, জনধন, আধার এবং মোবাইলের ত্রিশক্তি দিয়ে সরকারি ব্যবস্থায় দুর্নীতি রুখে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। দরিদ্ররা চিকিৎসা ক্ষেত্রে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সহায়তা পায়। দেশের সুরক্ষার ক্ষেত্রে, দেশবাসী সার্জিকাল স্ট্রাইক, এয়ার স্ট্রাইক নিয়ে গর্ব করতে পারে। তিনি আরও দাবি করেন, তাঁর সরকার সরকারি ব্যবস্থাকে গরীবের কল্যাণমুখী করে তুলেছে।

যদিও মোদি সরকারের আট বছর পূর্তির প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে তুলোধোনা করে কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠকে চন্দ্রিমার অভিযোগ, “গত আট বছরে কেন্দ্রে বিজেপি আসার পর গরিব মানুষ আরও গরিব এবং বড়লোক আরও ধনী হয়েছেন। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি ও যন্ত্রণা লাঘবে নিয়ে দিল্লির বিজেপি সরকার সম্পূর্ণ উদাসীন। দেশে মুদ্রাস্ফীতি সর্বোচ্চ। জ্বালানির দাম আকাশছোঁয়া। শুধুমাত্র ২ কোটি মহিলা কর্মসংস্থানের সুযোগ হারিয়েছেন। আট বছরে সাংবিধানিক দায়িত্ব ও রাজধর্ম পালনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ মোদি সরকার।” পাশাপাশি কেন্দ্রকে তোপ দেগে তিনি আরও বলেন, “সাধারণ মানুষের চরম সর্বনাশ করে রান্নার গ্যাসের দাম হাজার টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার পেট্রোল থেকে ৩০৭ গুণ সেস আদায় করছে। টাকার দামে রেকর্ড পতন হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করতে ভরসা পাচ্ছেন না। আর বিদেশিরা দেশ থেকে কোটি কোটি টাকার মুনাফা করে বিদেশে নিয়ে চলে যাচ্ছেন। দেশের মানুষের পকেট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে।”




Previous articleকংগ্রেসের হাত ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন হার্দিক
Next articleআগাম বর্ষা উত্তরবঙ্গে! দু-তিনদিনের মধ্যেই বৃষ্টি