দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রণক্ষেত্র কানপুর, মূলচক্রী সহ গ্রেফতার ২৪

মুসলিম ধর্মগুরু হজরত মহম্মদকে নিয়ে উস্কানিমূলক মন্তব্যের জেরে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল কানপুর(Kanpur)। ব্যাপক ভাংচুরের পাশাপাশি ছোড়া হল পাথর। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর হয়ে ওঠে যে নিয়ন্ত্রণ করতে আধাসেনা নামাতে হয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে(UttarPradesh govt)। ঘটনার তদন্তে নেমে ২৪ জনকে গ্রেফতার(Arrest) করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে জাতিয় নিরাপত্তা আইনে দায়ের হয়েছে মামলা।

জানা গিয়েছে, বিজেপি নেত্রী নুপুর শর্মা (Nupur Sharma) দিনকয়েক আগে হজরত মহম্মদের বিয়ে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। তারপর থেকেই কানপুর-সহ উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন এলাকার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। শুক্রবার নুপুরের মন্তব্যের প্রতিবাদে কানপুরের প্যারেড মার্কেটে বনধের ডাক দেয় স্থানীয় সংখ্যালঘু সংগঠন। কিন্তু স্থানীয় দোকানদাররা দোকানপাঠ বন্ধ রাখতে রাজি হয়নি। তাতেই বিবাদের সূত্রপাত। এরপর ওই এলাকায় দুপক্ষের সংঘর্ষ চরম আকার ধারন করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠে নামে পুলিশ ও আধা সেনা।

আরও পড়ুন:মাত্র ৩৫ শতাংশ নম্বরেই বিজ্ঞান, বাড়ল একাদশের সিট: নির্দেশিকা জারি উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের

এদিকে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে জাভেদ খান ও জাফার হায়াত হাশমিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি এই হিংসার ঘটনায় মূল ষড়যন্ত্রকারী সে। পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয়েছে, মহম্মদ রাহিল ও মহম্মদ সুফিয়ান গ্রেফতার হয়েছে। পুলিশের দাবি জাভেদ খান লখনউ থেকে একটি ইউটিউব চ্যানেল চালায়। পাশাপাশি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের আওতায় মামলা রুজু হয়েছে। মোট ৩৫ জনের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে মামলা। পুলিশ জানিয়েছে এদের সমস্ত সম্পত্তি ক্রোক করা হবে। এদিকে, ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে মোবাইল ও কিছু নথি।

যদিও ইসলাম ও হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার পরও নুপুর শর্মার বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশ সরকার কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তাঁর বিরুদ্ধে দুটি এফআইআর দায়ের করেছে মুম্বই পুলিশ এবং থানে পুলিশ। এদিকে শুক্রবার কানপুরের ঘটনার জন্য যোগী সরকারের নিষ্ক্রিয়তাকে দায়ী করেছেন সমাজবাদী পার্টি (Samajwadi Party) সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব।




Previous articleওড়িশা সরকারের মন্ত্রিসভা থেকে একযোগে পদত্যাগ সব মন্ত্রীর
Next articleদুবাইয়ে অভিষেকের সফরে নজরদারি ইডি-র, পাল্টা ধুয়ে দিলেন কুণাল