রাত পোহালেই ত্রিপুরা উপনির্বাচনের প্রহসনের গণনা, ফলাফল যাইহোক একইঞ্চি জমি ছাড়বে না তৃণমূল

উপনির্বাচনের নামের এই ভোট ছিল গেরুয়া সন্ত্রাসের রক্তাক্ত ছবি। অসম, মনিপুর থেকে পেশাদার গুন্ডা ও বহিরাগতদের এনে গুন্ডামি থেকে শুরু করে বাইক বাহিনীর দাপাদাপি ছিল চোখে পড়ার মতো। যেখানে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা পুলিশ কর্মীকেও ছুরি মারে। আক্রান্ত হয়েছিলেন সাংবাদিকরাও

আর কয়েক ঘন্টার অপেক্ষা। রাত পোহালেই ত্রিপুরা উপনির্বাচনের চারটি কেন্দ্রের ফল ঘোষণা। রবিবার
সকাল ৮টা থেকে শুরু গণনা। দুপুরের মধ্যেই ফলাফল সামনে চলে আসবে। গত ২৩ জুন ৬ আগরতলা, টাউন বড়দোয়ালি, সুরমা ও যুবরাজনগরে ভোট গ্রহণ হয়। রবিবার ৬ আগরতলা, টাউন বড়দোয়ালি কেন্দ্রের গণনা হবে আগরতলার উমাকান্ত একাডেমিতে। এছাড়া সুরমার গণনা হবে সালেমা ব্লকে এবং যুবরাজনগরের গণনা হবে ধর্মনগরে।

যদিও উপনির্বাচনের নামের এই ভোট ছিল গেরুয়া সন্ত্রাসের রক্তাক্ত ছবি। অসম, মনিপুর থেকে পেশাদার গুন্ডা ও বহিরাগতদের এনে গুন্ডামি থেকে শুরু করে বাইক বাহিনীর দাপাদাপি ছিল চোখে পড়ার মতো। যেখানে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা পুলিশ কর্মীকেও ছুরি মারে। আক্রান্ত হয়েছিলেন সাংবাদিকরাও। ভোটে কারচুপি করতে তৃণমূলের প্রার্থী, পোলিং এজেন্ট থেকে শুরু করে কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়েছিল বিজেপির গুন্ডার। বিজেপি সন্ত্রাসকে ছাড় পাননি প্রবীণ নাগরিক থেকে শুরু করে মহিলারাও। সবমিলিয়ে উপনির্বাচনের নামে কার্যত প্রহসন হয়েছে ত্রিপুরায়।

কারচুপি, সন্ত্রাস, রিগিং, ছাপ্পার এই প্রহসনের ভোটে ফলাফল যাইহোক না কেন, তৃণমূল কংগ্রেসের স্পষ্ট বার্তা, ত্রিপুরায় গণতন্ত্র না ফেরা পর্যন্ত একইঞ্চি জমিও ছাড়া হবে না বিজেপিকে। তেইশের বিধানসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বে বাংলার মতো ত্রিপুরাবাসীও নতুন ভোরের সূর্য দেখবে। তৈরি হবে মা-মাটি-মানুষের সরকার, এমনটাই দাবি ঘাসফুল শিবিরের।

আরও পড়ুন- রাত পোহালেই চন্দননগর পুরনিগমে উপনির্বাচন, কড়া নিরাপত্তা বলয়

 

 

Previous articleWimbledon: বড় সিদ্ধান্ত উইম্বলডনের, ইউক্রেনের উদ্বাস্তুদের বিনামূল্যে ম‍্যাচ দেখার সুযোগ আয়োজকদের
Next articleBreakfast news: ব্রেকফাস্ট নিউজ