পাঞ্জাবের একটি সেনা ছাউনিতে ঘুমোচ্ছিলেন জওয়ানেরা (ARMY)। সেই সময় এক সহকর্মী গুলি (FIRE) করে খুন (MURDER) করলেন দুই জওয়ানকে। নিহতদের মধ্যে এক জওয়ান বাঙালি। জানা গিয়েছে, স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে তিনি থাকতেন পাঞ্জাবের একটি ফ্ল্যাটে। বাড়ি আরামবাগে। নিহত সেনাকর্মীর নাম গৌরীশংকর হাটি। এই ঘটনায় সেনা ছাউনিতে চাঞ্চল্য ও শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহত জওয়ান কর্মরত ছিলেন পাঠানকোটের মিরথাল ক্যানটনমেন্টে।

আরামবাগ পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের নির্ভয়পুরের হাটিপুরের বাসিন্দা ছিলেন ৩৩ বছরের গৌরীশংকর। পাঞ্জাবে পোস্টিং ছিল ওই সেনাকর্মীর। জানা গিয়েছে, পাঞ্জাবে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন সেনাকর্মী। রবিবার নির্দিষ্ট সময়ে যোগ দিয়েছিলেন কাজে। রাত্রে ছিলেন সেনা ছাউনিতে। জানা গিয়েছে, লোকেশ নামের এক জওয়ান নিজের বন্দুক থেকে হঠাৎ করেই এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। এই ঘটনায় গুলি লাগে তিন জনের। যাঁদের মধ্যে দুই জওয়ান মারা যান। এরপরেই চম্পট দেয় লোকেশ। তবে পাঞ্জাব পুলিশের তৎপরতায় গ্রেফতার হয় ওই জওয়ান। গৌরীশংকর হাটির প্রয়াণের খবরে তাঁর পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।  জানা গিয়েছে, আগামীকাল বুধবার নিহত জওয়ানের দেহ ফিরবে আরামবাগের বাড়িতে।

আরও জানা গিয়েছে, এই ঘটনার আগে লোকেশের বাড়ি থেকে ফোন এসেছিল। তারপরেই ঘটে এই ঘটনা। তবে কি পারিবারিক অশান্তির কারণেই এই ঘটনা? উঠছে প্রশ্ন। অভিযুক্ত সেনাকর্মীকে জেরা করা হচ্ছে। নিহত জওয়ানের মা বলেন, তাঁর পুত্রবধূ তাঁকে ফোন করে জানিয়েছিলেন ছেলে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। পরে খবর দেন ছেলে আর নেই। 
নিহত জওয়ানের বাবা বলেন, ৬ জন ডিউটি থেকে একসঙ্গে ফিরেছিলেন। এঁদের মধ্যে ২ জন আধিকারিক। ওই সেনা শিবিরের পাহারার দায়িত্বে ছিলেন ২ জন। ওঁদের মধ্যে ১ জন এই কাজ করেছে। জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন ২ জওয়ান। তাঁদের দেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে।












 
 
 
 
 
 
 
 



