এবার বিজেপির তোলা “পরিবারতন্ত্র” তত্ত্বের মোক্ষম জবাব দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, সোমবার কলকাতায় ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভে যোগ দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানান, প্রত্যেকেরই রাজনীতি করার অধিকার আছে। সেক্ষেত্রে কোনও রাজনৈতিক পরিবার থেকেও কেউ রাজনীতিতে আসতে পারেন, তার মধ্যে অন্যায় নেই। প্রত্যেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব স্বতন্ত্র। তাঁদের নিজেদের পৃথক পরিচয় থাকে। নিজেদের দক্ষতায়-যোগ্যতায় রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত হয়। ফলে বিষয়টিকে পরিবারতন্ত্র হিসেবে ব্যাখ্যা করা ঠিক নয়।
এদিন কনক্লেভে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎ নেওয়াকালীন একটি অংশ সঞ্চালকের প্রশ্ন ছিল, “পরিবারতন্ত্র নিয়ে বারবার বিজেপি অভিযোগ তুলছে। পশ্চিমবঙ্গেও সেই পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ। এখানে আপনার পরেই আপনার পরিবারের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।”
জবাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, অভিষেক নিজের যোগ্যতায় রাজনীতি করছে। মানুষের ভোটে জেতা দু-দুবারের সাংসদ। আর রাজনীতিতে নতুন প্রজন্মকে তো উঠে আসতেই হবে। কেউ ভালোবেসে রাজনীতি করতে চাইলে তাঁকে বাধা দেওয়া উচিত নয়। সে যে পরিবার থেকেই আসুন না কেন।উত্তর প্রদেশের অখিলেশ যাদব প্রসঙ্গ তুলে ধরেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর যোগ্যতার প্রশংসা করেন। মুজিবর রহমান প্রসঙ্গ টেনে মমতা বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বাংলাদেশে যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, সেই জায়গা থেকে ধীরে ধীরে হাল ধরেন বাংলাদেশের পরিস্থিতি বদলে দিয়েছিলেন তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা।
অন্যদিকে, এজেন্সিকে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে কেন্দ্রের শাসক দল এমন অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তোলার পরই কনক্লেভের আরও একটি অংশে সঞ্চালকের প্রশ্ন ছিল, “আপনার ভাইপোকেও তো নোটিশ দিয়েছে সিবিআই।” তৃণমূল নেত্রীর সোজাসাপটা বক্তব্য, “বিষয়টিকে ওভাবে দেখা উচিত নয়। সিবিআই তো অটোচালক অটোচালক থেকে সাংবাদিক, ডাক্তার রাজনীতিবিদ সবাইকেই নোটিশ দিচ্ছে! আর যেখানে অভিষেকের প্রশ্ন, সে একজন স্বতন্ত্র মানুষ। তার নিজের একটি রাজনৈতিক পরিচয় আছে। আমরা সৌজন্যবোধ দেখিয়ে বাড়িতে সিবিআই এলে তাদেরকে সহযোগিতা করি।”