কাঁথি পুরসভার পথবাতি কেলেঙ্কারি: নাম জড়ালো অধিকারী পরিবারের

একের পর এক অর্থ কেলেঙ্কারিতে নাম জড়াচ্ছে কাঁথির অধিকারী পরিবারের। শ্মশান, সারদার পর এবার পথবাতি কেলেঙ্কারিতে নাম জড়াল কাঁথির অধিকারী পরিবারের। কাঁথি (Kanthi) পুরসভার গ্রিন সিটি মিশন (Green City Mission) প্রকল্পে শহরের সৌন্দর্যায়ন এবং এলইডি লাইট বসানোর কাজে দুর্নীতি ও অনিয়মের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীর (Sisir Adhikari) বড় ছেলে কৃষ্ণেন্দু অধিকারী ও সেজো ছেলে তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর (Dibyendu Adhikari) স্ত্রী সুতপা অধিকারীকে তলব করেছে পুলিশ। অধিকারী বাড়ি শান্তিকুঞ্জ-তে গিয়ে তাঁদের সাক্ষীর সমন দিয়ে এসেছিল কাঁথি থানার পুলিশের (Police) একটি দল। বক্তব্য রেকর্ড করার জন্য তাঁদের মঙ্গলবার থানায় উপস্থিত হতে বলা হয়। কিন্তু দুজনের কেউই এই বিষয়ে পুলিশকে কোনও তথ্য জানাননি বা থানায় সাক্ষী দিতে আসেননি বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

শিশির অধিকারীর ছোট ছেলে সৌমেন্দু অধিকারী কাঁথি পুরসভায় চেয়ারম্যান থাকাকালীন ২০১৭–১৯ সালের মধ্যে ‘গ্রিন সিটি মিশন’ প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এছাড়া মেজো ছেলে শুভেন্দু অধিকারী (Subhendu Adhikari) পরিবহণ মন্ত্রী থাকাকালীন হাই-মাস্ট পথবাতি বসানোর জন্য যে অর্থ বরাদ্দ হয়েছিল, তাতেও অনিয়মের অভিযোগ জমা পড়ে। গত ডিসেম্বরে কাঁথি শহরের করকুলির বাসিন্দা পল্লব দত্তের সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অতিরিক্ত জেলাশাসক(জেলাপরিষদ) শ্বেতা আগরওয়াল এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) মানব সিংলার নেতৃত্বে ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির তদন্তে প্রায় ১৮–২০ কোটি টাকার বেনিয়ম সামনে আসে। ঘটনায় পুরসভার তৎকালীন অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার দিলীপ কুমার চুয়ান এবং তৎকালীন এগজিকিউটিভ অফিসারের সমীরকুমার দের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪০৯, ১০২বি এবং ৪৭৭এ ধারায় মামলা রুজু হয়। সমীরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। হাইকোর্টের নির্দেশে বর্তমানে জামিনে রয়েছেন দিলীপ চুয়ান। এবার সেই মামলায় সাক্ষী হিসেবে ডেকে পাঠানো হয় দিব্যেন্দুর স্ত্রী ও দাদাকে। মূলত আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। সুতপা থানায় আসতে না চাইলে বাড়ি গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন তদন্তকারীরা। সম্মতির কথা জানাতে বলা হয়েছে তাঁকে। যদিও এ ব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি তাঁদের।

শ্মশান কেলেঙ্কারি তদন্ত এখনও চলছে। তার মধ্যেই পথবাতি কেলেঙ্কারিতে অধিকারী পরিবারের আরও দুই সদস্যের নাম উঠে আসায় অস্বস্তিতে পড়েছে শান্তিকুঞ্জ।

আরও পড়ুন- কালীর ছবি, সাধুদের নিয়ে রাজ্যপালের দুয়ারে শুভেন্দু, কুণাল বললেন রাজভবন রাজনীতির আখড়া

Previous articleArun Lal: বাংলার কোচের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অরুণ লাল
Next articleমুড়িগঙ্গা নদীর উপর সেতু তৈরি করবে রাজ্য সরকারই: পাহাড় থেকে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর