শিক্ষা দফতরের ১৮ হাজার শূন্যপদের হিসাব চাইল হাইকোর্ট

কোন কোন পোস্টে কত শূন্যপদ রয়েছে, তা জানাতে হবে। আমি চাই, সকলের চাকরি হোক। ২৮ জুলাইয়ের মধ্যে সমস্ত তথ্য হলফনামার মাধ্যমে জমা করতে হবে।

শিক্ষা দফতরের ১৮ হাজার শূন্যপদ নিয়ে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই বিষয়ে বলেন, ‘আমি বিভিন্ন মিডিয়া রিপোর্ট ও পাবলিক বক্তৃতা থেকে শুনেছি, ১৮ হাজার শিক্ষকের পদ খালি আছে। মামলার জন্য চাকরি হচ্ছে না। শিক্ষা দফতরের প্রধান সচিবের কাছ থেকে বিস্তারিত রিপোর্ট চাইছি। কোন কোন পোস্টে কত শূন্যপদ রয়েছে, তা জানাতে হবে। আমি চাই, সকলের চাকরি হোক। ২৮ জুলাইয়ের মধ্যে সমস্ত তথ্য হলফনামার মাধ্যমে জমা করতে হবে। যদি সত্যি দেখা যায় ১৮ হাজার পদ খালি রয়েছে, তাহলে ঠিক আছে। না হলে আমি অন্য নির্দেশিকা জারি করবো।’

সম্প্রতি একাধিক সভা-প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেছেন, ১৭ হাজার পোস্ট রেডি আছে। মামলার জন্য নিয়োগ করা যাচ্ছে না। মামলাকারীদের মামলা তুলে নেওয়ার আবেদনও জানান। ২১-শে জুলাইয়ের মঞ্চে শিক্ষক নিয়োগ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের টিচারিতেও (শিক্ষক নিয়োগে) কোর্টে কেস চলছে তাই, তা না হলে ১৭ হাজার পোস্ট এখন রেডি আছে। যে পোস্টগুলো ভর্তি করার জন্য ডিপার্টমেন্টও রেডি আছে। কোর্টে কেস চলছে বলে আমরা করতে পারছি না। আমরা চাই চাকরি হোক।’

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ আগামী ২৯ জুলাই এর মধ্যে কোথায় কত শূন্য পদ আছে তা বিস্তারিতভাবে হলফনামা জমা দিতে হবে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের প্রধান সচিব কে। শিক্ষক নিয়োগ মামলা নিয়েও মাসখানেক আগে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলেন, ‘দাদামণি (শুভেন্দু) বলছে ১৭ হাজার লোকের চাকরি খাবে। লাখ খানেক চাকরির মধ্যে ৫০-১০০টা কেস ভুল হতেই পারে। কাজ করতে গেলে ভুল হয়, ভুল সংশোধনের সুযোগ দিতে হবে। সংশোধনের জন্য সাড়ে ৫ হাজার পদ সৃষ্টি করেছি। বড় বড় কথা, সিবিআই-ইডি-র ভয় দেখাচ্ছেন। এটা ত্রিপুরা নয় যে, ১০ হাজার চাকরি খেয়ে নিয়েছে। আমরা কারও চাকরি খাই না, চাকরি দিই। তোমরা কোর্টে গিয়ে চাকরি খাও, চাকরি দাও না।

পাশাপাশি, এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এদিন রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, প্রাথমিক, উচ্চপ্রাথমিক, মাদ্রাসা এবং হাই মাদ্রাসা—এই সব মিলিয়ে রাজ্যে ঠিক কত শূন্য পদ রয়েছে, তা আগামী কালের মধ্যে জমা দিতে হবে।  এদিন বিচারপতি বলেন, ”দুর্ভাগ্যজনক হল, বিচারব্যাবস্থাকে রাজনৈতিক র‍্যাগিংয়ের শিকার হতে হচ্ছে।” এখন দেখার রাজ্য সরকার  শূন্যপদের কী হিসেব আদালতে জমা দেয়।

 

 

Previous articleপ্রধানমন্ত্রী হলে চিনের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেব, বার্তা ঋষি সোনাকের
Next articleপ্রধান শিক্ষিকার পদ খালি, শূন্যপদে বসে স্কুল চালাচ্ছেন ‘গ্রুপ ডি’ কর্মী