ফতোয়াকে ফুঁৎকারে উড়িয়ে মেঘালয়ের নেতৃত্বকে সঙ্গে নিয়ে সংসদে তৃণমূলের বিক্ষোভ

ফতোয়া জারি করেছিল সরকার। জানানো হয়েছিল সংসদ চত্বরে কোনরকম ধরনা ও বিক্ষোভ করা যাবে না। তবে সেই ফতোয়াকে ফুঁৎকারে উড়িয়ে সংসদ চত্বরে এবার প্রতিবাদে সামিল হল তৃণমূল(TMC)। পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন মেঘালয়ের(Meghalaya) নেতৃত্বরা। দাবি তোলা হয়, গারো ও খাসি ভাষাকে অষ্টম তফসিলের অন্তর্ভূক্ত করে স্বীকৃতি দিতে হবে। মেঘালয়ের মুকুল সাংমাদের(Mukul Sangma) পাশাপাশি এদিন পোস্টার হাতে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়(Sudip Banerjee), মহুয়া মৈত্র, শান্তনু সেনরা।

এদিন মেঘালয়বাসীর দাবিদাওয়া তুলে ধরে বিক্ষোভ দেখানো হয় সংসদ চত্বরে। মেঘালয়ের গারো ও খাসি ভাষার স্বীকৃতির দাবিতে একযোগে সরব মুকুল সাংমা, মহুয়া মৈত্ররা। অসম-মেঘালয় সীমানা চুক্তি বাতিল নিয়েও কেন্দ্রের কাছে মেঘালয়ের নেতারা দাবি তুলেছেন। সংসদ চত্বরে প্রতিবাদের পর তৃণমূলের সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত হয়ে এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে মুকুল সাংমা বললেন, “দীর্ঘদিন ধরে নানা সুযোগসুবিধা থেকে বঞ্চিত মেঘালয়বাসী। অনেক কিছু আটকে রাখা হয়েছে। আমাদের দাবিগুলো এবার পূরণ করতে হবে কেন্দ্রকে। সেই বার্তাই দিতে এসেছি।” তবে পোস্টার হাতে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি সাংসদরা মিছিল করতে গেলে তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ।

বাংলার বাইরে একাধিক রাজ্যে নিজেদের সংগঠন বিস্তার করেছে তৃণমূল। উত্তর-পূর্ব ভারতের অবহেলিত ছোট রাজ্য অসম, ত্রিপুরায় ইতিমধ্যেই তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় রয়েছে। সেখানকার সংগঠনের ভিতও মজবুত হয়ে উঠছে। মেঘালয়ে একসঙ্গে বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট নেতা, বিধায়ক কংগ্রেস ছেড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে সংসদে নিজেদের সর্বভারতীয় চরিত্র সুস্পষ্ট করাতে মেঘালয়ের সমস্যা নিয়ে সরব হল তৃণমূল।


Previous articleNeeraj Chopra: চোটের কারণে কমনওয়েলথ গেমস থেকে সরে দাঁড়ালেন নীরজ চোপড়া
Next articleদাবানলের রোষে ক্যালিফোর্নিয়ার জঙ্গল, ভস্মীভূত ১৭ হাজার একর জমি