তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের(Kunal Ghosh) সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের(Dharmendra Pradhan) সাক্ষাৎ। আর এই সাক্ষাৎকে কেন্দ্র করেই সরগরম হয়ে উঠল রাজ্য রাজনীতি। গোটা বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর রীতিমত বিবৃতি জারি করে কুণালের বিরুদ্ধে ‘অনাহুত অতিথি’র অভিযোগ এনেছে বিজেপি(BJP)। যদিও পালটা রাজ্য বিজেপি নেতাদের এহেন মন্তব্যকে পাল্টা কটাক্ষ করে, আসল সত্যিটা প্রকাশ্যে আনলেন কুণাল।
সেদিনের ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে ধরে বুধবার টুইট করে কুণাল ঘোষ লেখেন, “হ্যাঁ, ঘটনাচক্রে শ্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের সঙ্গে আমার সাক্ষাত হয়েছে যখন আমি আমার বাড়িতে ফিরছিলাম। কিন্তু ভাবতে পারিনি ছোট ব্যাপারটা বিজেপিকে এমনভাবে নাড়িয়ে দেবে। এই ঘটনায় কোনো রাজনীতি ছিল না। ওই একই বিল্ডিংয়ে আমাকে দেখে স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে আমাকে ভেতরে নিয়ে যান।”
1/2: Yes, I incidentally met Shree Dharmendra Pradhan on Sat when I was returning to my home. But couldn’t think that the small thing will shake BJP. There was no politics at all. That was same building. Seeing me, local BJP workers in a coordial manner took me inside. More..2
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) July 27, 2022
এর পাশাপাশি তিনি আরও লেখেন, “সুন্দর প্রশংসা এবং মিষ্টির জন্য শ্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে ধন্যবাদ। ওনার কাছে আমি আমার প্রাক্তন সাংসদের পরিচয় ব্যবহার করিনি। ধর্মেন্দ্র প্রধান সেখানে উপস্থিত বিজেপি নেতাদের সংসদে আমার বক্তৃতার প্রশংসা করেছিলেন। আর এখন আমি বিজেপির এই ধরনের নড়বড়ে প্রতিক্রিয়া উপভোগ করছি। যা প্রমাণ করে বিজেপির নিজেদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব। এটা আমার কাছে এখন সত্যিই মজার বিষয়।”
2/2: Thanks to Shree Dharmendra Pradhan for nice compliments and sweets. I didn’t use my ex MP identity. He told BJP leaders about my speech in Parliament. Now I am enjoying the shaky reactions of BJP. That proves lack of confidence among themselves. Really it’s too funny.
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) July 27, 2022
উল্লেখ্য, মানিকতলায় সোম মণ্ডল নামে এক আইনজীবীর ফ্ল্যাটে গত শনিবার বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠক ছিল। যেখানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সোহমের ফ্ল্যাটের ঠিক উপরের তলাতেই কুণাল ঘোষের ফ্ল্যাট। সেখানেই কুণাল ঘোষের সঙ্গে ধর্মেন্দ্র প্রধানের বৈঠক হয় বলে জল্পনা ছড়ায়। এবিষয়েই সম্প্রতি বিবৃতি জারি করে বিজেপির তরফে জানানো হয়, মানিকতলা এলাকায় একটি বাড়িতে দলের একটি সাংগঠনিক বৈঠক ছিল। বৈঠকের শেষে নৈশ্যভোজেরও আয়োজন ছিল। কার্যকর্তাদের নিয়ে সেই বৈঠকে বিনা আমন্ত্রণে হাজির হন কুণাল ঘোষ। একইসঙ্গে বিজেপি জানায়, আমন্ত্রণ ছাড়াই তিনি চলে আসেন, যা আশা করা যায়নি। সেখানে কুণালের সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কোনও আলোচনা হয়নি। কেবলমাত্র কুণাল সেখানে গিয়ে মন্ত্রীকে জানান যে, তিনি প্রধানের রাজ্যসভার সহকর্মী। এ ধরনের কিছু সৌজন্যমূলক আলাপচারিতা ছাড়া কোনও কথা হয়নি। আচমকা এভাবে বিনা আমন্ত্রণে কুণাল সেখানে হাজির হওয়ার পরেই ধর্মেন্দ্র প্রধান চলে যান বলে দাবি করে বিজেপি। এবার বিজেপির বিবৃতির পালটা জবাব দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।