দায় কেন্দ্রকেও নিতে হবে! তৃণমূল মানুষের কাছে দায়বদ্ধ কোনও নেতার কাছে নয়: অভিষেক

যে যত বড় নেতা হোন, তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযোগ থাকলে তাঁকে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে হবে। যদি নির্দোষ হয়ে থাকেন, তাহলে সসম্মানে তাঁকে ফিরিয়ে আনা হবে

প্রথমে মন্ত্রিসভা এবং ঠিক তার পরই দলের সমস্ত পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর তদন্ত পর্বে কী হতে চলেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থান? যা নিয়ে জোর চর্চা ছিল বিভিন্ন মহলে। বিরোধীরা আবার ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে।

এরই মাঝে বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠকের পর দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”আজ বৈঠক থেকে কমিটির সবার সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। সকলের মত নেওয়া হয়েছে। তারপরই সর্বমসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে দলের সমস্ত পদ থেকে অপসারণ করা হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।”

অভিষেক আরও বলেন, ”তৃণমূলের কেউ জড়িত থাকলে শাস্তি হোক। দল কোনও দুর্নীতিকে সমর্থন করে না। আশা করি তদন্তকারী সংস্থা নিরপেক্ষ তদন্ত করবে৷ কিন্তু এই টাকা এল কোথা থেকে? জড়িত কারা কারা? সব জানতে হবে। বিপুল পরিমাণ টাকা যা উদ্ধার হয়েছে তার উৎস কী? প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছিলেন কালো টাকা উদ্ধার হয়েছে সব। আমি কাউকে ডিফেন্ড করছি না। যদি কেউ অন্যায় করে থাকে৷ অবিচার হয়ে থাকে। তাহলে তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থন করবে না। মমতা বন্দোপাধ্যায় যা বলেছিলেন আজ তা তিনি করে দেখিয়েছেন। অর্থ রোজগারের মেকানিজম হলে দল সমর্থন করবে না।”

যে যত বড় নেতা হোন, তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযোগ থাকলে তাঁকে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে হবে। যদি নির্দোষ হয়ে থাকেন, তাহলে সসম্মানে তাঁকে ফিরিয়ে আনা হবে। অভিষেকের কথায়, ”বিগত সপ্তাহে ২২ জুলাই একটা ঘটনা ও তাকে কেন্দ্র করে নানা তথ্য জনসমক্ষে এসেছে। ইডি এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ২২ জুলাই আমাদের দলের এক প্রবীণ সদস্য, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সহকর্মী, বিরোধী দলনেতাও ছিলেন তিনি, তাঁকে গ্রেফতার করে। ২৩ জুলাই শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি প্রাথমিক সিদ্ধান্ত আমরা মমতা বন্দোপাধ্যায় কাছে পাঠাই। আমাদের করণীয় সভানেত্রী কে জানাই।”

তবে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শূন্যস্থানে কেউ থাকবে না এখন। ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে মমতা বন্দোপাধ্যায় জানাবেন। মহাসচিবকে দল অপসারিত করতে পারে একমাত্র তৃণমূল। মমতা বন্দোপাধ্যায় কোনও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত মানুষকে প্রশ্রয় দেন না। তার আগে মিডিয়া ট্রায়াল ঠিক নয়।”

আরও পড়ুন:বন্ধ কারখানার উদ্বৃত্ত জমি ব্যবহার করে নতুন শিল্প: নীতি নির্ধারণের কথা ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

 

Previous articleবন্ধ কারখানার উদ্বৃত্ত জমি ব্যবহার করে নতুন শিল্প: নীতি নির্ধারণের কথা ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
Next articleকমনওয়েলথ গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকবে না ভারতীয় মহিলা দল : সূত্র