এসএসসি দুর্নীতি মামলায় ইডি হেফাজত শেষে আপাতত জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দেশের আইন সকলের জন্য সমান। তিনি নেতা-মন্ত্রী হোন বা সেলিব্রেটি। তাই প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষ প্রথমদিনই জানিয়েছিল, পার্থকে কোনও বিশেষ সুবিধা দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। আর পাঁচজন সাধারণ বন্দিদের মতোই তাঁর “ট্রিটমেন্ট” হবে। প্রথম প্রথম সেরকমই চলছিল। কিন্তু এবার বাড়তি সুবিধা নেওয়া শুরু করলেন পার্থ। এখন জেলের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছেন তিনি। আসলে মানাতে বাধ্য হয়েছেন। কারণ, পার্থবাবু বুঝেছেন মাথার চুল ছিঁড়ে আর লাভ নেই। এখানেই তাঁকে কাটাতে হতে পারে দীর্ঘ বন্দিজীবন। খুব সহজে ছাড় তিনি পাবেন না।
প্রথমে সেলের মধ্যে কম্বল পেতে শুচ্ছিলেন পার্থ। এরপর তাঁকে খাট দেওয়া হল। আর পাঁচজন বন্দিদের মতো জেলের রোস্টার অনুযায়ী টিফিন থেকে শুরু করে দুপুরের বা রাতের খাবার দেওয়া হচ্ছিল। এবার তাঁর পছন্দের খাবার দেওয়া শুরু হল। শুরু থেকেই জেলে আবদার-বায়না জুড়েছিলেন, বিকেলের টিফিনে মুড়ির সঙ্গে বেগুনি-আলুর চপ। এবার সেই আবদার মেটালো জেল কর্তৃপক্ষ। সোমবার বিকেলে পার্থকে দেওয়া হল বেগুনি-আলুর চপ। তৃপ্তি করে খেলেন তিনি।
আরও পড়ুন- ‘সামনা’র সম্পাদকের দায়িত্বে উদ্ধব, কংগ্রেসের পাশে না দাঁড়ানোয় তোপ এনসিপি ও তৃণমূলকে
প্রেসিডেন্সি জেল সূত্রে খবর, সোমবার বিকেল হতেই জেলে চপের আবদার করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। স্বাভাবিকভাবেই আবদার নাকচ হয়ে যায়। কিন্তু পার্থবাবু নাছোড়বান্দা। চপ তাঁর চাই-ই-চাই। অবশেষে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন জেলের আধিকারিকরা। অনুমতি মেলায় তেলেভাজা পান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যতবড় অপরাধী হোক, কারও খাওয়া নিয়ে খোঁটা দেওয়া উচিত নয়। কিন্তু অপরাধীর নাম পার্থ চট্টোপাধ্যায় না হয়ে রাম-শ্যাম-যদু-মধু হলে জেল কর্তৃপক্ষ কি সেই আবদার মেটাতেন? প্রশ্ন উঠছে এখানেই।
এদিকে তাঁর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ও কম যান না। তাঁরও আবদার অনেক। আলিপুর মহিলা সংশশোধনাগারে পার্থ বান্ধবীর চাহিদার শেষ নেই। কখনও চেয়েছেন ড্রাই ফুট, কখন আবার পছন্দের অন্য কোনও খাবার।