বিহারে সরকার পতন সময়ের অপেক্ষা, রাজ্যপাল সাক্ষাতে নীতীশ, রইল সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবে

দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে বিহারে জোট ভাঙলেন নীতীশ কুমার। এবার কি তবে মহাজোটে ফিরতে চলেছেন জেডিইউ প্রধান। বিহার রাজনীতির হিসেব অবশ্য সেদিকেই ইঙ্গিত করছে। রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ইতিমধ্যেই সময় চেয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী যা জল্পনা আরও উসকে দিয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে কংগ্রেস ও রাষ্ট্রীয় জনতা দলের বিধায়করা নিজেদের মধ্যে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে সরকার ভাঙার তোড়জোড় একেবারে চূড়ান্ত পর্যায়ে।

এদিন সকাল ১১ টা থেকে দলের সংসদ ও বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন নীতীশ কুমার। এই বৈঠকে কোন ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো না হলেও, সরকার ভাঙার বিষয় নিয়েই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, নীতীশ কুমারের সঙ্গে তাঁর মন্ত্রিসভার ১৬ জন বিজেপি বিধায়কও রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং ইস্তফা পত্র জমা দেবেন।

প্রসঙ্গত, বিহার বিধানসভায় মোট আসন সংখ্যা ২৪৩। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজন ১২২ জন বিধায়কের সমর্থন। তবে নীতীশের দল জেডিইউ-র আসন সংখ্যা ৪৫। মহাজোট গড়তে নীতীশের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে কংগ্রেস। বর্তমানে কংগ্রেসের ১৯ জন বিধায়ক আছে। এছাড়া CPIML-র ১২ জন বিধায়ক এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতন রাম মাঞ্জির হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা (HAM)-র ৪ জন বিধায়কের সমর্থন পাচ্ছেন নীতীশ কুমার। এর পাশাপাশি আরজেডি দলের হাতে রয়েছে ৭৯ জন বিধায়ক। অর্থাৎ মোট ১৫৯ জন বিধায়কের সমর্থন নিয়ে সহজেই সংখ্যাগরিষ্ঠতার সীমানা অতিক্রম করবে মহাজোট।

উল্লেখ্য, সম্প্রতিক সময় একাধিক ইস্যুতে বিজেপি ও জেডিইউ-র মধ্যে ফাটল তৈরি হয়েছে। যার জেরে বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেন নীতীশ। এর আগে ১৭ জুলাই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ডাকা মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকও এড়িয়ে যান তিনি। ২২ জুলাই, প্রধানমন্ত্রী মোদি আয়োজিত রামনাথ কোবিন্দের বিদায়ী ভোজসভায় আমন্ত্রণের পরেও যাননি নীতীশ কুমার। তিনি এড়িয়ে গিয়েছিলেন দ্রৌপদী মুর্মুর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানও।

Previous articleখরা, উচ্চতর বৃষ্টিপাত- বন্যার মাধ্যমে ৫৮ শতাংশ সংক্রামক রোগ ছড়ায়, প্রকাশ আন্তর্জাতিক গবেষণাপত্রে
Next articleএকটাই দল একটাই নেত্রী, কোনও উপদল বরদাস্ত নয়, দুই জেলা নেতৃত্বকে বার্তা অভিষেকের