Bihar Crisis: ইস্তফায় ‘না’ স্পিকারের, অনাস্থা এনেই কি অপসারণের ছক!

বৃহস্পতিবার ক্ষমতাসীন মহাগঠবন্ধন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই উদ্দেশ্যেই আগামী ২৪ অগস্ট বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে। সেখানেই সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দেবে সরকার।

বিহারের (Bihar)ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে। বুধবার নতুন করে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) শপথ নিয়েছেন, উপমুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন তেজস্বী যাদব (Tejashwi Yadav)। নিয়ম মেনে এবার সংশ্লিষ্ট আইনসভার স্পিকারের ইস্তফা দেওয়াই দস্তুর। কিন্তু ব্যতিক্রমী বিজয়কুমার সিন্‌হা (Vijay Kumar Sinha)। ইস্তফা নিয়ে কোনও মন্তব্য করছেন না তিনি। আগামী ২৪ অগস্ট বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দেবে নয়া সরকার। কিন্তু আজ সকাল পর্যন্তও নিজের ইস্তফা নিয়ে মুখে কুলুপ বিজয়কুমারের। আর এর জেরেই ফের বিহারের রাজনীতিতে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

বিজয়কুমার সিন্‌হা এখন বিহারে সদ্য বিরোধী দলের তকমা পাওয়া বিজেপির বিধায়ক। ক্ষমতার পরিবর্তন হয়েছে মানে তাঁর ইস্তফা দেওয়ার কথা। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত নিতে তিনি নারাজ। এই পরিস্থিতিতে অনাস্থা প্রস্তাব এনে তাঁকে অপসারণের প্রক্রিয়া শুরুর ভাবনা চিন্তা করছে নয়া সরকার। প্রাথমিক ভাবে অনাস্থা এনে ভোটাভুটির মাধ্যমে বিজয়কুমার সিন্‌হাকে অপসারিত করার বিষয়টিকেই গুরুত্ব দিতে চাইছে আরজেডি-জেডি(ইউ)-কংগ্রেস-বামেদের জোট। বৃহস্পতিবার ক্ষমতাসীন মহাগঠবন্ধন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই উদ্দেশ্যেই আগামী ২৪ অগস্ট বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে। সেখানেই সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দেবে সরকার। নিয়ম অনুযায়ী ৫০ জন বিধায়কের সই করা অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করা হলে ১৪ দিন পরে অধিবেশন ডেকে তা সেই নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হয়। পরিষদীয় বিধি অনুযায়ী কোনও স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হলে তিনি বিধানসভায় সরকারের আনা আস্থাপ্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি পরিচালনা করতে পারেন না। ডেপুটি স্পিকার সেই দায়িত্ব পালন করেন।

Previous article‘পোশাক’ বিতর্কে সমালোচনার মুখে সেন্ট জেভিয়ার্স, উপাচার্যের পদত্যাগ চেয়ে অনলাইনে সই সংগ্রহ
Next articleআদালতে অসুস্থতার প্রসঙ্গ তুলে ধরেও রেহাই নেই, ২০ আগস্ট পর্যন্ত CBI হেফাজত অনুব্রতর