ভারতের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত শিশু শ্রম-জাতিভেদ-দারিদ্র: রাষ্ট্রসংঘে মুখ পুড়ল মোদি সরকারের!

“স্বাধীনতার ৭৫ বছর পার হলেও ভারতের জ্বলন্ত সমস্যাগুলি এখনও জড়িয়ে রয়েছে দেশের রন্ধ্রে রন্ধ্রে। শিশু শ্রম, জাতিগত বৈষম্য, দারিদ্র ভারতের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত।” আর এই তথ্য এবার উঠে এল একেবারে রাষ্ট্রসঙ্ঘে। বলার অপেক্ষা রাখে না রাষ্ট্রসঙ্ঘের(United Nation) এই রিপোর্টে মুখ পুড়ল মোদি সরকারের(Modi Govt)। আন্তর্জাতিক মঞ্চের তরফে সম্প্রতি এক রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। যেখানে দাবি করা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার দলিত মহিলাদের প্রতি বৈষম্যের(Castisam) পাশাপাশি তাঁদের দাসত্বের বিষয়টি। যার কারণে বেঁচে থাকার জন্য তাঁদের সমস্ত সুযোগ সুবিধা ও স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করা হয়।

রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশনের বিশেষ প্রতিবেদক টোমোয়া ওবোকাটা দাসত্বের সমসাময়িক রূপগুলির উপর বিশেষ প্রতিবেদন তুলে ধরেন রাষ্ট্রসংঘে। যেখানে তিনি জানান, দাসত্বের কারণ, ফলাফল, সংখ্যালঘুদের প্রভাবিত করে আধুনিক দাসপ্রথার প্রধান কারণগুলি অন্যান্য অনেক কারণের সাথে মিলিত হয়ে এক ব্যাপক রকম বৈষম্য তৈরি করেছে। ওবোকাটা বুধবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের প্রতিবেদনে বলেন, এই সকল ক্ষেত্রে দেখা যায় আক্রান্তরা ঐতিহাসিক উত্তরাধিকারের ফলাফল, যেমন দাসত্ব এবং ঔপনিবেশিকতা, উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত মর্যাদা, নিয়মনীতি এবং রাষ্ট্রের প্ররোচনায় বৈষম্য। এক্ষেত্রে শিশুশ্রমের বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, শিশু শ্রমের সবচেয়ে খারাপ রূপ বিশ্বের সমস্ত অঞ্চলে বিদ্যমান। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল, মধ্যপ্রাচ্য, আমেরিকা ও ইউরোপে ৪ থেকে ৬ শতাংশ শিশু শিশুশ্রমে রয়েছে এবং আফ্রিকায় এই হার অনেক বেশি (২১.৬ শতাংশ)। একই সময়ে সাব-সাহারান আফ্রিকায় সর্বোচ্চ হার (২৩.৯ শতাংশ)।

এরপরই ভারতের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ভারতে শিশুশ্রম, জাতিগত বৈষম্য ও দারিদ্রতা একে অপরের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে রয়েছে। পাশাপাশি তিনি বলেন, অ্যাঙ্গোলা, কোস্টারিকা, হন্ডুরাস এবং কাজাখস্তান সহ বিভিন্ন অঞ্চলে সংখ্যালঘু ও অভিবাসী শিশুদের শিশুশ্রমে নিয়োজিত করার কথাও জানা গেছে। ওবোকাটা বলেন, প্রান্তিক সম্প্রদায়গুলিকে প্রায়শই সকারি নীতি এবং জাতীয় বাজেট বরাদ্দের ক্ষেত্রে উপেক্ষা করা হয়। এবং সাধারণভাবে দাসত্বের সমসাময়িক রূপ সহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ন্যায়বিচার এবং চিকিত্সার ক্ষেত্রে তাঁদের সীমিত সুযোগ রয়েছে। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে দক্ষিণ এশিয়ায় কাজ এবং বর্ণের ভিত্তিতে বৈষম্য চলে, যেমন দলিতদের মধ্যে যারা যে কাজ করে তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সেই কাজে বাধ্য করার প্রচলন রয়েছে। জোর করে মেয়েদের বাল্যবিবাহের বিষয়টিও তুলে ধরা হয়েছে রিপোর্টে যেখানে বলা হয়েছে, এই ধরনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি দেখা যায় পাকিস্তানে। এর পাশাপাশি এই তালিকায় রয়েছে, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভারত এবং সোমালিয়া।

Previous articleCorona Update : চিন্তা মুক্তি নেই, এক লাফে ফের বাড়ল করোনা
Next articleকলকাতার ৩০টি জায়গায় চিরুণী তল্লাশি আয়কর আধিকারিকদের