ভারত সফরে এসে জ্বালানি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে পারেন শেখ হাসিনা

খায়রুল আলম , ঢাকা

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফর উপলক্ষে দুই দেশেরই প্রত্যাশার পারদ তুঙ্গে। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে যেমন আলোচনা হবে তেমনি অমিমাংসিত বিষয় নিয়ে আলোচনাও হবে। অন্যদিকে পশ্চিবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দিল্লিতে বৈঠক হবে কিনা সে বিষয় এখনও স্পষ্ট নয়। জানা গেছে এটি অনেকটাই নির্ভর করছে দিল্লির ওপর। তবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হাসিনার বৈঠকের ইচ্ছে রয়েছে। আলোচিত বিষয়ের মধ্যে রয়েছে তিস্তা ও গঙ্গা ইস্যু।

আরও পড়ুন:হাসিনার সফরকালে মমতাকে দিল্লিতে আমন্ত্রণ কেন্দ্রের

এদিকে ভারতের কাছে জ্বালানি সহায়তা চাওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিদেশ সচিব মাসুদ বিন মোমেন। ভারতের উদ্বৃত্ত জ্বালানি আনতে দিল্লির সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি চাইবে ঢাকা। বিদেশ সচিব বলেন, ‘বর্তমানে ভারত জ্বালানি খাতে আমাদের চেয়ে ভালো অবস্থানে আছে। আমরা তাদের সহায়তা চাইব, কেন না আমাদের বিদ্যুৎ-এর ঘাটতি রয়েছে।তাই তাদের উদ্বৃত্ত থাকলে তাদের কাছ থেকে জ্বালানি আনার জন্য চুক্তি করতে চায় ঢাকা।’

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘জ্বালানি ইস্যুতে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে বন্ধুপ্রতিম দেশ ভারত। পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশটির যদি উদ্বৃত্ত জ্বালানি থাকে, বাংলাদেশ এ ব্যাপারে সহযোগিতার বিষয়ে দীর্ঘ মেয়াদি চুক্তি করার জন্য চেষ্টা করবে।’ তিনি জানান, ভারতের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করার ইচ্ছে রয়েছে  বাংলাদেশের। যদিও এটা নির্ভর করবে ভারতের উদ্বৃত্ত জ্বালানির পরিমাণের ওপর।বিভিন্ন সময়ে আমরা প্রতিবেশী দেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা পেয়েছি। আমরা আশা করছি এ ব্যাপারেও তাদের সহযোগিতা পাওয়া যেতে পারে।

প্রধানমন্ত্রীর নয়াদিল্লি সফরে তিস্তার জলবণ্টন ইস্যু তোলা হবে বলে জানিয়েছেন মোমেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিষয়টা নিয়ে একবার কথা হয়েছিল। সুতরাং আমর অবশ্যই চাইব ভারত তাদের ফর্মালিটিগুলো শেষ করে এটা ঘোষণা করবে। প্রত্যাশা আমাদের সব সময় থাকবে। সুতরাং আমরাও বিষয়টা তুলব ।’

চার দিনের সফরে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লি যাবেন শেখ হাসিনা। সফরে আলোচনার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘এটা একটা রাষ্ট্রীয় সফর। এটা দুটো বন্ধু দেশের মধ্যে সবসময় হয়। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। এই সফরে দুই দেশের যে বহুমাত্রিক সম্পর্ক আছে, সেটার বিভিন্ন ইস্যুগুলো আছে, সেগুলো নিয়ে আলাপ-আলোচনা হবে।’

আগে যেসব বিষয় বাস্তবায়ন হয়নি, সেগুলো নিয়ে আলোচনা হবে। যেগুলোতে অগ্রগতি হয়েছে, সেগুলোও আমরা মূল্যায়ন করে দেখব এবং সামনে আরও কোন কোন বিষয়ে সহযোগিতা হতে পারে, সে বিষয়টাও আমরা দেখব। সুতরাং সেই অর্থে কোনো সুনির্দিষ্ট অ্যাজেন্ডা আছে এমন নয়। সর্বোচ্চ পর্যায়ে আমরা বছরে একবার বসলে সব বিষয়ে আলোচনা করি।

এছাড়াও গঙ্গা ও প্রতিরক্ষা নিয়েও আলোচনা হবে।  শেখ হাসিনার ভারত সফরে গঙ্গার জল চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ঠ কর্তারা জানান , এবার গঙ্গা নিয়ে আলোচনা হবে নিশ্চয়ই।

Previous articleসব কর্মী-স্বনিযুক্তদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার চেষ্টা, মজুরি-কর্মী সংখ্যার সীমা অপসারণের প্রস্তাব EPFO-র
Next articleবুধবার ডুরান্ড কাপে বাগানের সামনে নৌসেনা, প্রতিপক্ষকে সমীহ বাগান কোচের