ভারত-চিনকে কাছাকাছি আনতে বিশেষ উদ্যোগ পুতিনের, শনিবার থেকে শুরু সামরিক মহড়া

আমেরিকাকে আটকাতে এবং ভারত (India) ও চিনের (China) বিবাদ (Dispute) মেটাতে এবার উদ্যোগ নিল রাশিয়া (Russia)। বৃহস্পতিবারই রাশিয়া চিন ও ভারতের সঙ্গে সামরিক মহড়া (Military Exercise) শুরু করেছে। সম্প্রতি ইউক্রেনে হামলা (Ukraine Attack) চালানোর কারণে ভ্লাদিমির পুতিনকে (Vladimir Putin) বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করার আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA) এবং তার পড়শি দেশগুলি। আর এমন আবহেই ভারত ও চিনকে নিয়ে সামরিক মহড়া শুরু করলো রাশিয়া। আগামী ১ সপ্তাহ ধরে এই মহড়া চলবে। এদিন রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলে জাপান সাগরে “ভোস্টক ২০২২” (Vostok 2022) নামে শুরু হওয়া এই বিশেষ মহড়ায় দেশগুলির নৌবাহিনী ও বিমান অংশ নেবে। মহড়ায় ১৪০টিরও বেশি বিমান, কমপক্ষে ৬০ টি যুদ্ধ জাহাজ, পাঁচ হাজারের বেশি সামরিক সরঞ্জাম এবং ৫০ হাজারেরও বেশি সেনা অংশ নিয়েছে।

তবে ভারতের তরফ থেকে সামরিক বিমান (Military Aircraft) বা কোনও যুদ্ধজাহাজ (Battleships) পাঠানো হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে সেনার তিন বিভাগ থেকে প্রতিনিধিদের পাঠানো হবে। পাশাপাশি সামরিক মহড়ায় স্থলসেনার তরফে গোর্খা রেজিমেন্টকে পাঠানো হয়েছে। সবমিলিয়ে ভারতের তরফ থেকে ৭৫ জনের একটি দল রাশিয়ায় পৌঁছেছে বলে খবর। অন্যদিকে ভারতকে নিজেদের প্রতিরক্ষায় (Defense) অংশীদার করতে এবং ইউক্রেনের যুদ্ধের জন্য রাশিয়ার উপর চাপিয়ে দেওয়া আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা যাতে কোনও ভাবেই খর্ব করা না হয় সেদিকে কড়া নজর রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। এমন পরিস্থিতিতে মহড়ায় অংশ নিয়েছে দিল্লি। অন্যদিকে চিনের বিদেশ মন্ত্রক (Ministry of Foreign Affairs) জানিয়েছে, সেদেশের সেনাবাহিনী, বিমান ও নৌবাহিনী এই মহড়ায় অংশ নিয়েছে। উভয় দেশের মধ্যে সামরিক সমন্বয় জোরদার করা এই মহড়ার মূল লক্ষ্য।

তবে সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে এই মহড়া নিয়ে ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক মহলে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। ২০২০ সালের মে মাসে গালওয়ান উপত্যকায় (Galwan Valley) সংঘর্ষের পরেই ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের (Bilateral Relations) অবনতি ঘটে। তারপর থেকেই দুই দেশের যৌথ সামরিক মহড়া বন্ধ রাখা হয়। পাশাপাশি লাদাখ সীমান্তের (Ladakh) সমস্যাও ভয়াবহ আকার নেয়। এরপর একাধিক বৈঠক করলেও কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি। তবে এমন পরিস্থিতিতে একসঙ্গে সামরিক মহড়া করতে দু’দেশকে কেন কাছাকাছি আনল রাশিয়া, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। তবে বিশেষজ্ঞদের অনুমান, নিজের খারাপ সময়ে দুই পুরনো বন্ধুর সাহায্য চাইতে মহড়ার উদ্যোগ রাশিয়ার। তবে ইউক্রেনে হামলা চালানোর পরে অধিকাংশ দেশগুলি রাশিয়ার নিন্দায় সরব হলেও, রাশিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে চিন। প্রবল চাপ উপেক্ষা করেও রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোনও খারাপ কথা ব্যবহার করেনি ভারত।

Previous articleবাংলার দুর্গাপুজো নিয়ে গবেষণা, রেড রোডের মঞ্চে সম্বর্ধনা তপতীকে  
Next articleরেড রোডে ছন্দে-বর্ণে জমজমাট অনুষ্ঠানে বাংলার সংস্কৃতির ঝলক, মঞ্চে পাশাপাশি দিদি-দাদা