মঙ্গলবারের পর বুধবারও সিবিআইয়ের ডাকে সাড়া দিলেন না বীজপুরের বিধায়ক

মঙ্গলবারের পর বুধবার ফের হাজিরা এড়ালেন বীজপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুবোধ অধিকারী(Subodh Adhikari)। এদিন সকাল ১০ টায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছিল সিবিআইয়ের(CBI) তরফে। যদিও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ডাকে সাড়া দেননি তিনি। এই পরিস্থিতিতে ওই বিধায়কের বিরুদ্ধে সিবিআই কী পদক্ষেপ নেয় সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।

রাজ্যে চিটফান্ড মামলার তদন্তে গত কয়েকদিন ধরেই তৎপর হয়ে উঠেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সম্প্রতি এই মামলায় হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যান রাজু সাহানি গ্রেফতারির পরই সিবিআইয়ের নজরে পড়ে তাঁর ঘনিষ্ঠরা। ৪ সেপ্টেম্বর বীজপুরের বিধায়ক এবং কাঁচরাপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যানের পৈতৃক বাড়িতে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর বিটি রোড, পাইকপাড়া এবং দক্ষিণদাড়ির বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। পাইকপাড়ায় ছিলেন সুবোধের স্ত্রী রিঙ্কু। তাঁর সঙ্গে কথা বলেন এবং এলআইসি সংক্রান্ত নথি এবং পাসপোর্ট খতিয়ে দেখেন তাঁরা।

সেই তল্লাশি অভিযানের পর মঙ্গলবার বেশকিছু নথি সহ সিবিআই সুবোধকে তলব করে কলকাতায় সিজিও কমপ্লেক্সে। যদিও মঙ্গলবার উপস্থিত হননি তিনি। বরং নিজের আইনজীবীকে পাঠিয়ে ১৫ দিন সময় চান তিনি। তবে সিবিআই তার আবেদনে সাড়া না দিয়ে বুধবার ফের ডেকে পাঠায়। কিন্তু বুধবারও সিবিআইয়ের ডাকে উপস্থিত হলেন না ওই বিধায়ক। উল্লেখ্য, বর্ধমান সন্মার্গ ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন নামে ওই চিটফান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ দায়ের হয় ২০১৪ সালে। কুলটি থানায় অভিযোগ জমা পড়েছিল। কোটি কোটি টাকা তছরূপের ঘটনায় ২০১৮ সালে সিবিআই তদন্ত শুরু করে। চার্জশিটও জমা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গত বছর ১২ ডিসেম্বর তৃণমূল নেতা তথা বর্ধমান পুরসভার পুরপ্রশাসক প্রণব চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হন এই মামলায়। যদিও বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত। সেই মামলার তদন্তেই ডাকা হয়েছিল ওই বিধায়ককে।

Previous article৩দিনে মোট ১৮৯ জন! প্রাথমিকে আরও ১১২ জনকে চাকরির নির্দেশ হাইকোর্টের
Next articleপ্রাথমিকে নিয়োগে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জের আশঙ্কায় সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল মামলাকারীর