অবশেষে গলল বরফ! লাদাখের গোগরা এলাকা থেকে পিছু হঠার সিদ্ধান্ত ভারত-চিনের

বিগত দু’বছর ধরে উত্তপ্ত লাদাখ (Ladakh)। ভারত ও চিনের (India-China) দড়ি টানাটানি খেলায় আপাতত বিরতি। লাদাখের গোগরা উষ্ণ প্রস্রবণ (Gogra Hot Springs) এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নিতে রাজি হল দুই দেশই। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Defense Ministry of India) জানিয়েছে, ভারত-চিন কর্পস কম্যান্ডার (Corps Commander) পর্যায়ের ১৬ তম বৈঠক (Meeting) শেষে দুই দেশের ঐক্যমত অনুসারে সেনারা সমন্বিত ও পরিকল্পিত উপায়ে ধীরে ধীরে লাদাখ থেকে পিছু হঠতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার দু’দেশের যৌথ বিবৃতিতে (Joint Statement) জানানো হয়, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ১৬তম বৈঠকে ঐক্যমতে পৌঁছতে পেরেছেন ভারত এবং চিনের সেনা কমান্ডারারা। যা সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতাবস্থার জন্য যথেষ্ট সহায়ক। আগামী সপ্তাহেই উজবেকিস্তানে (Ujbekistan) চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের (Xi Jinping) মুখোমুখি হতে পারেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। আর তার আগেই এমন পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

একাধিক এলাকায় চিনা সেনাবাহিনীর সীমান্ত লঙ্ঘনের কারণে ২০২০ সালের এপ্রিল-মে মাস থেকে ভারত ও চিন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ২০২০ সালের জুন মাসে গালওয়ান উপত্যকায় (Galwan Valley) ভারতীয় ও চিনা সেনাদের মধ্যে হিংসাত্মক সংঘর্ষ হওয়ার পরে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়। আর তখন থেকেই দুই দেশের সম্পর্কে চির ধরে। এর আগে আলোচনার পরে প্যাংগং, তোসো এবং গালওয়ানের উত্তর ও দক্ষিণ উপত্যকা সহ একাধিক এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন হয় দু’দেশের সেনা। যদিও এখনও কিছু জায়গায় মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছেন সেনারা।

এরপর থেকেই সামরিক পর্যায়ে দফায় দফায় বৈঠক চলছিল দুই দেশের মধ্যে। তবে গোগরা উষ্ণ প্রস্রবণ এলাকা থেকে চিন সেনা সরাতে রাজি হলেও, প্যাংগং হ্রদের উত্তর এবং দক্ষিণ প্রান্ত নিয়ে এখনও জট কাটেনি। লাদাখের বেশ কিছু এলাকায় এখনও চিনা বাহিনীর উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।

Previous articleপুজো অনুদান মামলার শুনানি শেষ, রায়দান আপাতত স্থগিত হাইকোর্টে
Next articleআফগানিস্তান ম‍্যাচে অধিনায়ক রাহুল, নিয়মরক্ষ‍ার ম‍্যাচে নেই রোহিত