পুজো অনুদান মামলার শুনানি শেষ, রায়দান আপাতত স্থগিত হাইকোর্টে

কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, পুজো কমিটি গুলিকে ৬০০০০ করে টাকা অনুদান হিসেবে দেওয়ার কথা

পুজো অনুদান মামলার শুনানি শেষ, রায়দান আপাতত স্থগিত রাখল কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার শুনানি পর্বে রাজ্যের অস্বস্তি বাড়িয়ে প্রশ্ন তোলে প্রধান বিচারপতির যৌথ বেঞ্চ। যৌথ বেঞ্চের প্রশ্ন, “অনুদানের টাকা যে রাজ্যের নির্দিষ্ট খাতেই ব্যয় করা হবে সেটা নিশ্চিত করবেন কীভাবে ?”

ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্নের জবাবে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্র নাথ মুখোপাধ্যায় জানান, পুজো অনুদানের টাকা মূলত তিনটি কাজে ব্যবহার করা হবে, প্রথমত, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরার জন্য। দ্বিতীয়ত,রাজ্যের পর্যটনের প্রচারের জন্য। আর তৃতীয়ত, এলাকার মানুষের সঙ্গে পুলিশের সুসম্পর্ক স্থাপনের জন্য। পুজো অনুদান জনস্বার্থ মামলায় মামলাকারি বক্তব্য তুলে ধরেন সিনিয়র আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য।
কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, পুজো কমিটি গুলিকে ৬০০০০ করে টাকা অনুদান হিসেবে দেওয়ার কথা। সেই ঘোষণা শুনেই পরপর জনস্বার্থ মামলা হয় হাইকোর্টে। বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের সওয়াল,রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি দুর্গাপুজোয় অনুদানের নামে টাকা দিয়েছেন। একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে অনুদান দেওয়া সংবিধান বিরোধী। রাজ্যের মানুষের করের টাকা এই ভাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী খরচ করতে পারেন না। এভাবে মানুষের করের টাকা খরচ করতে গেলে রাজ্যপালের অনুমতি লাগে।
রাজ্য যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সেটা দফতরের মধ্যেকার পত্র আদান- প্রদান বলা যায়। ইউনেস্কো দুর্গাপুজোকে হেরিটেজের তকমা দিয়েছে মানেই রাজ্য সরকার কোষাগার থেকে টাকা খরচ করতে পারেনা। এই কলকাতা হাইকোর্ট ইমাম ভাতা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল যাতে নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের প্রতি পক্ষপাত মূলক আচরণ না হয়। রাজ্য পাল্টা যুক্তি দেয়,পুজোর সময় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঢাকিরা আসেন। নির্দিষ্ট জায়গায় একত্রিত হন। ১০ মিনিট, ২০ মিনিট, ৩০ মিনিট তারা ঢাক বাজাতেই থাকেন। দেখার মতো দৃশ্য। তারপর উদ্যোক্তারা তাদের পছন্দ করে নিয়ে যান।

কুমারটুলি থেকে প্রতিমা লন্ডন সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে যায়। কুমারটুলিকে শিল্পের প্রদর্শনশালা বলা যায়। তাই দুর্গাপূজা ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে। প্যান্ডেলের শিল্পকলা, হস্তশিল্প উৎসবের মাধুর্যে অন্য মাত্রা যোগ করে। বহু মানুষের কর্মসংস্থান হয়।

Previous articleবিতর্কের মাঝেই ইন্ডিয়া গেটে নেতাজি মূর্তির আবরণ উন্মোচন প্রধানমন্ত্রীর
Next articleঅবশেষে গলল বরফ! লাদাখের গোগরা এলাকা থেকে পিছু হঠার সিদ্ধান্ত ভারত-চিনের