Indian Railway: দেশের ৩ বড় স্টেশনের খোলনলচে বদলে ফেলছে রেল 

 স্টেশনগুলিতে কাঁচের আবরণ থাকবে। এছাড়া যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে প্রত্যেক শহরের গুরুত্বপূর্ণ উড়ালপুলের সঙ্গে রেল স্টেশনগুলিকে যুক্ত করা হবে।

ভোট বড় বালাই! নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে ফের সাধারণ মানুষের নজর ঘোরানর চেষ্টা করে চলেছে কেন্দ্র সরকার (Central Government)। এবার নয়াদিল্লি, মুম্বই ও আমেদাবাদ- দেশের ৩ বড় রেল স্টেশনের খোলনলচে বদলে ফেলতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government)। বুধবারই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় এই তিন রেল স্টেশনের সংস্কারের প্রস্তাব পাশ হয়েছে।

সামনে দিল্লির তিনটি পুরসভার নির্বাচন (Municipality Election)। মুম্বইতে বৃহন্মুম্বই পুরসভার নির্বাচনও (BMC Election) আসন্ন। আর নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)-অমিত শাহের (Amit Shah) রাজ্য গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচন (Gujrat Assembly Election) এবছরের শেষের দিকেই। তিন পুরসভার ভোটকে পাখির চোখ করে নয়াদিল্লি রেল স্টেশন, মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস এবং আমেদাবাদ রেল স্টেশনকে ঢেলে সাজিয়ে আধুনিক করে তুলতে ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে রেলের এমন সিদ্ধান্তকে ভোটের রাজনীতি বলেই কটাক্ষ করছে বিরোধীরা। বিরোধী শিবিরের অভিযোগ, নির্বাচনকে সামনে রেখে বৈতরণী পারের আশায় এমন ঘোষণা কেন্দ্রীয় সরকারের। যা সাধারণ মানুষের আইওয়াশ ছাড়া আর কিছুই নয়।

রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণো (Rail Minister Ashwini Vaishnaw) একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, প্রতিটি শহরের নকশার সঙ্গে তাল মিলিয়ে স্টেশনের নকশা তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি স্টেশনগুলিতে কাঁচের আবরণ থাকবে। এছাড়া যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে প্রত্যেক শহরের গুরুত্বপূর্ণ উড়ালপুলের সঙ্গে রেল স্টেশনগুলিকে যুক্ত করা হবে।

পাশাপাশি ভিড় সামলানোর জন্য একাধিক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে রাজধানীর জন্য। পাশাপাশি সংস্কারের পর ঢেলে সাজানো হবে দিল্লি রেল স্টেশন। সেখানে যেমন থাকবে চলমান সিঁড়ি, তেমনই ঝকঝকে করে সাজানো হবে রেল স্টেশনগুলিকেও। তবে রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, সব কিছু ঠিক থাকলে নয়াদিল্লি স্টেশনের সংস্কার ও পুননির্মাণের কাজ শেষ হতে সময় লাগবে কমপক্ষে সাড়ে ৩ বছর।

রেলমন্ত্রীর বক্তব্য, তিন শহরের চরিত্র মাথায় রেখে ওই তিনটি স্টেশনকে ঢেলে সাজানো হবে, যাতে স্টেশনগুলিকে শহরের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মনে হয়। পাশাপাশি প্ল্যাটফর্ম ও রেললাইন ঘিরে বিমানবন্দরের মতো ভবন তৈরি করা হবে। এছাড়া রেললাইনের উপরের ছাদে তিন থেকে চারটি তলের ভবন তৈরি হবে। স্টেশন চত্বরে বিশাল ফুড প্লাজ়া, বিশ্রামের ঘর, শিশুদের খেলার জায়গা থাকবে। রাখা হবে স্থানীয় জিনিস বিক্রির আলাদা জায়গাও।

Previous articleহিন্দু রাষ্ট্র হবে ভারত: মোহন ভগবতের মন্তব্যের পাল্টা কুণাল মনে করালেন ‘বিবেকানন্দের মতাদর্শ’
Next articleমায়ানমার সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশে না হাসিনা সরকারের