দলিত কিশোরীকে লাগাতার গণধ*র্ষণ, স্কুলের দিদি-সহ গ্রেফতার ৬ অভিযুক্ত

রাজস্থানের দলিত কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় তোলপাড়। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৬ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে বিশেষ তদন্তকারী দল। তাদের মধ্যে একজন মহিলা। শুধু তাই নয়, এই মামলার তদন্তে নিযুক্ত এক পুলিশ আধিকারিককেও সাসপেন্ড করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: কংগ্রেসে এখনও শেষকথা গান্ধী পরিবার, দলিত নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের সভাপতি হওয়া সময়ের অপেক্ষা

কোটা জেলার রামগঞ্জ মান্ডি থানা এলাকার দলিত পরিবারের ওই কিশোরী গত ১৪ সেপ্টেম্বর নিখোঁজ হয়ে যায়। ১৮ সেপ্টেম্বর কোটার একটি পার্ক থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এরপর ২৩ সেপ্টেম্বর নির্যাতিতাকে তার পরিবারের লোকেদের কাছে ফিরিয়ে দেয় পুলিশ। তখনই নির্যাতিতার পরিবার পুলিশি তদন্তের গাফিলতির অভিযোগ তোলে। অন্যায়ের প্রতিবাদে গর্জে ওঠে বিভিন্ন সংগঠন। অবশেষে রাজস্থান সরকার সিট গঠন করে। তদন্তে নেমে সিট অভিযুক্তের গ্রেফতার করে। ধৃতদের মধ্যে একজন মহিলাও রয়েছেন। এছাড়া এএসআই রৌনক আলির বিরুদ্ধেও নির্যাতিতাকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

ঘটনা, চলতি মাসের ১৪ তারিখের। দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী ওইদিন বাড়ি থেকে বেরিয়ে ট্রেনে করে কোটা স্টেশনে পৌঁছায়। তারপর স্কুলে এক দিদির সঙ্গে তার দেখা হয়। সিনিয়ার সেই ছাত্রীই নির্যাতিতা কিশোরীকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোটার এক বাড়িতে আটকে রাখে বলে অভিযোগ। এই সময়ের মধ্যে তাকে বারবার গণধর্ষণ করা হয়। ১৮ সেপ্টেম্বর একটি পার্কের কাছে নির্যাতিতাকে ফেলে অভিযুক্তরা পালায়। স্থানীয়রা জখম অবস্থায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। যদিও তার পরিবারের দাবি, এএসআই রৌনক আলি ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এমনকী তিনিও ওই কিশোরীর শ্লীলতাহানি করেন। পুলিস সুপার কাবেন্দ্র সিংয়ের নেতৃত্বে তদন্ত শুরু করে সিট।

Previous articleষষ্ঠীতে সুখবর! দাম কমল বাণিজ্যিক গ্যাসের
Next article“সোহাগ চাঁদ বদোনি ধোনি নাচো তো দেখি”, নাচে-গানে পুজো সেলিব্রেশন শুরু মহুয়ার