হার দিয়ে আইএসএল-এ অভিযান শুরু ইস্টবেঙ্গলের

কেরালা ব্লাস্টার্সের কাছে ৩-১ গোলে হার ইস্টবেঙ্গলের।

দুই মরশুম পর হোম-অ্যাওয়ে ফরম্যাটে আইএসএলে (ISL) দর্শক ফিরল স্টেডিয়ামে। কোচির ভরা গ্যালারিতে উঠল হলুদ ঝড়। আইএসএল অভিযানের শুরুতে আশা জাগিয়েও কেরালা ব্লাস্টার্সের কাছে ৩-১ গোলে হার ইস্টবেঙ্গলের। ৭১ মিনিট পর্যন্ত কেরলকে আটকে রেখেও তিন গোল খেল স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইনের দল। তবে গোলের নীচে কমলজিত সিং না থাকলে লাল-হলুদের লজ্জা আরও বাড়তে পারত। সুপার সাব হিসেবে ইউক্রেনের মিডফিল্ডার ইভান কলিয়ুঝনির বিশ্বমানের জোড়া গোল এবং আদ্রিয়ান লুনার দুর্দান্ত ফুটবল আইএসএলের উদ্বোধনী ম্যাচ থেকে পুরো তিন পয়েন্ট এনে দিল কেরলকে। প্রথম ম্যাচের পর রক্ষণ নিয়ে চিন্তায় থাকলেন স্টিফেন। কোচের স্ট্র্যাটেজি নিয়েও থাকছে প্রশ্ন।

প্রথমার্ধে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে শুরু করেছিল ইস্টবেঙ্গল। ৪-৩-৩ ফর্মেশনে দল সাজিয়েও খেলার শুরুতেই পরিস্থিতি বুঝে দ্রুত ফর্মেশন বদলে ৪-৪-২ ছকে চলে যান স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন। আপফ্রন্টে রাখেন ক্লিটন সিলভা এবং ভিপি সুহেরকে। খেলার প্রথম দশ মিনিটের পর প্রথমার্ধের বাকি সময়টায় কেরলেরই প্রাধান্য ছিল। তবে লুনা, সাহাল সামাদ, দিমিত্রিওসদের যাবতীয় প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় লাল-হলুদের ডিফেন্সিভ থার্ডে এসে। আক্রমণভাগে দিয়াজ এবং ভাজকোয়েজের ছেড়ে যাওয়া জায়গায় এখনও নিজেদের সে ভাবে মানিয়ে নিতে পারেননি দিমিত্রিওস এবং জিয়ান্নু। বিরতির ঠিক আগে কেরলের একটি ফ্রিকিক দুর্দান্তভাবে বাঁচান ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার কমলজিত।

দ্বিতীয়ার্ধে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে ব্লাস্টার্স। গ্যালারি ভর্তি দর্শক সমর্থন সঙ্গে থাকায় বাড়তি মোটিভেশন ছিল সাহাল, লুনা, হরমনজ্যোৎ খাবরাদের। তাতেই উজ্জীবিত ফুটবল খেলল ইয়েলো ব্রিগেড। বিরতির পর কেরলের একের পর এক আক্রমণের ঢেউ আছড়ে পড়ে লাল-হলুদ রক্ষণে। পুইতিয়া, জেসেল, লুনারা দাপিয়ে বেড়ালেন। ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের তখন অসহায় দেখাচ্ছিল। মাঝমাঠে লিমা, সৌভিক চক্রবর্তী, কিছুটা তুহিন দাস ছাড়া কাউকে চোখেই পড়েনি। সুমিত পাসিরা ব্যাক পাস করতেই ব্যস্ত থাকলেন। বিপক্ষের আক্রমণ সামাল দিতে নিচে এসে রক্ষণ সামলাতে হল ক্লিটনকে। ইস্টবেঙ্গল গোলের নিচে কমলজিত কার্যত একাই দুর্গ আগলে রেখেছিলেন। ৬১ মিনিটে সুহেরকে বসিয়ে সেমবোই হাওকিপকে মাঠে নামিয়ে আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়াতে চেয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। তাতে কোনও লাভ হয়নি।
বরং ৭১ মিনিটে লাল-হলুদের যাবতীয় প্রতিরোধ ভেঙে যায়। উরুগুয়ের লুনার দুরন্ত গোলে এগিয়ে যায় কেরল। এক্ষেত্রে পরাস্ত হন লাল-হলুদ কিপার। শেষ লগ্নে সৌভিক, কিরিয়াকু, তুহিনকে তুলে এলিয়ান্দ্রো, অমরজিত কিয়াম, জর্ডন দোহার্তিদের নামিয়েও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেননি ইস্টবেঙ্গল কোচ। উল্টে ৮২ মিনিটে গোলের ব্যাবধান দ্বিগুণ করে ফেলে কেরল। পরিবর্ত হিসেবে নেমে নেমে ইউক্রেনের কলিয়ুঝনি দুর্দান্ত একটি গোল করে কেরলের জয় কার্যত নিশ্চিত করেন। ৮৮ মিনিটে লিমার গোলে ইস্টবেঙ্গল ব্যবধান কমালেও মিনিট খানেকের মধ্যেই দূরপাল্লার অসাধারণ শটে কেরলের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন সেই ইভান। তিনিই ম্যাচের সেরা।

আরও পড়ুন:টি-২০ বিশ্বকাপে বুমরাহ-জাদেজা না থাকায় কী বললেন রবি শাস্ত্রী?

Previous articleপুতিন ইউক্রেনে পরমাণু হামলার কথা মোটেই মজা করে বলেন না, সতর্কবার্তা বাইডেনের
Next articleBreakfast news : ব্রেকফাস্ট নিউজ