পেনড্রাইভের সূত্র ধরে দেশে জ*ঙ্গি সংগঠনের নতুন মডিউলের খোঁজ, তদন্তে এসটিএফ

এক পেনড্রাইভের সূত্র ধরে ভারতীয় আ*ল কায়েদার নতুন মডিউলের সন্ধানে নামল লালবাজারে(LalBazar) গোয়েন্দারা। ওই পেনড্রাইভকে হাতিয়ার করেই জ*ঙ্গি সংগঠনে কীভাবে নিয়োগ পদ্ধতি চালানো হতো তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল ট্রাস্ট ফোর্স(STF)। সম্প্রতি এই পেনড্রাইভ উদ্ধার হয়েছে জঙ্গি সংগঠনের সদস্য মালদহের হাসনত শেখের(Hasnat Sekh) বাড়ি থেকে। অভিযুক্তকে জেরা করে তথ্য জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা।

গত মাসে উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরের মাণ্ডি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় হাসনত শেখকে। এখানেই শিক্ষকতার নামে অভিযুক্ত আল কায়েদা বা ‘আকিস’-এর (AQIS) স্লিপার সেল চালাত বলে অভিযোগ। বাংলাদেশ থেকে এই দেশে চোরা পথে সীমান্ত পেরিয়ে যারা আশ্রয় নিত তাদের থাকার ব্যবস্থা করত এই স্লিপার সেল। হাসনত ও তার সঙ্গীরা তাদের থাকার জন্য ওই দুষ্কৃতীদের জাল পরিচয় পত্র তৈরি করে দিত। সম্প্রতি বাংলাদেশের এক জ*ঙ্গি সংগঠনের নেতা, ব্লগার খুনে অভিযুক্ত ফাঁসির আসামী ফয়জল আহমেদ বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়। বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের কাছ থেকে একটি মোবাইল নম্বর পেয়ে এসটিএফের গোয়েন্দারা তদন্ত করতে শুরু করেন। জানা যায়, শহিদ মজুমদার নাম নিয়ে জাল ভারতীয় পরিচয় পত্র তৈরি করে ব্যাঙ্গালুরুতে আস্থানা গেড়েছিল ফয়জল। তাকে গ্রেফতার করে উঠে আসে হাসনতের নাম।

সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে তাকে গ্রেফতার করার পর জেরার মুখে হাসনত স্বীকার করে যে, বাড়িতে সে লুকিয়ে রেখেছে আকিস বা আল কায়েদার কার্যকলাপের বহু নথি, যেগুলি একটি পেন ড্রাইভেই বন্দি রয়েছে। সেগুলির সন্ধানে এসটিএফ আধিকারিকরা হানা দেন মালদহের কালিয়াচকে সুজাপুর এলাকার নাজিরপুর গ্রামে তার বাড়িতে। সেখান থেকেই উদ্ধার হয় ওই পেন ড্রাইভ। কোন রাজ‌্য থেকে কতজন যুবক ও তরুণকে ভারতীয় আল কায়েদা জঙ্গি সংগঠনে নিয়োগ করা হয়েছে, তাদের বাংলাদেশ বা দেশের বাইরে কোনও জায়গায় পাঠানো হয়েছে কি না, সেই তথ‌্য জানা চেষ্টা হচ্ছে।

Previous articleবর্ষীয়ান নেতা মুলায়ম সিং যাদবের প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর
Next articleনিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াই, অনন্তনাগে খতম ২ জ*ঙ্গি