লাগাতার বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গ।রবিবার রাত থেকে মুষলধারায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে তরাই এবং ডুয়ার্সে। তিস্তা-সহ বাকি পাহাড়ি নদীগুলির জলস্তর বেড়েছে। ফলে সতর্ক প্রশাসন।ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতা। এদিকে প্রবল বর্ষণে বিপাকে উত্তর সিকিমে এবং পাহাড়ে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকরা। বৃষ্টির জেরে সিকিমে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের কয়েকটি জায়গায় ধসও নেমেছে।
আরও পড়ুন:লাগাতার বৃষ্টিতে রাজধানীতে ভাঙল বাড়ি, নিহত ৩, আহত ১০
জানা গিয়েছে, শুক্রবার থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গার নদী-জলাশয়ের জলস্তর বেড়েছে। সিকিমেও লাগাতার বৃষ্টি হয়ে চলেছে। বৃষ্টির জেরে ধস নেমে ভেঙে গিয়েছে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশ। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে যান চলাচল।
তিস্তা নদীর জলস্তর বাড়ায় জলপাইগুড়ির দোমোহনি থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত হলুদ সতর্কতা জারি করেছে সেচ দফতর। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় জলপাইগুড়িতে বৃষ্টি হয়েছে ৪১.২০ মিলিমিটার। সিকিম পাহাড়ে ভারী বৃষ্টির জেরে রবিবার রাত থেকেই তিস্তার জলস্তর বাড়ছে। তাতে গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে দফায় দফায় জল ছাড়া হয়। সকাল আটটা পর্যন্ত ব্যারেজ থেকে ১৮২৯.৬৯ কিউসেক জল ছাড়ায় তিস্তা নদীর জলস্তর বাড়তে থাকায় দোমোহনি থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করেছে সেচ দফতর।
রবিবার রাত থেকে তরাই এবং ধূপগুড়ি-সহ গোটা ডুয়ার্স জুড়ে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে কালো মেঘ ঢাকা আকাশ। তার সঙ্গে চলছে মুষলধারায় বৃষ্টি। তার জেরে বিপর্যস্ত জনজীবন। গত ২৪ ঘণ্টায় কুমারগ্রামে ৩১৫ মিলিমিটার, বারোবিশায় ৭৬ মিলিমিটার, আলিপুরদুয়ারে ১১৪ মিলিমিটার, বক্সাদুয়ারে ৯০ মিলিমিটার এবং ঝালংয়ে ৮২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ধূপগুড়ি থেকে ফালাকাটাগামী ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে মায়েরথান কালীমন্দির এলাকায় রাস্তায় হাঁটু জল। যার ফলে সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ থেকে পথচারী সকলেই।