প্রমাণ লোপাটে হাইব্রিড মাগুরকে খাইয়ে অয়নের দেহ লোপাটের ছক কষেছিল হরিদেবপুরের অভিযুক্তরা

হরিদেবপুর কাণ্ডে ফের সামনে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। খুন করার পর অয়ন মণ্ডলের দেহ “গায়েব” করার ছক কষেছিল বান্ধবী প্রীতির বাবা দীপক জানা। নিথর দেহ হাইব্রিড মাগুর মাছের ভেড়িতে ফেলে লোপাটের পরিকল্পনা ছিল। তদন্তে নেমে ধৃতদের জেরা করে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ।

তদন্তকারীদের দাবি, ঠাণ্ডা মাথায় বাড়িতে ডেকে খুন থেকে শুরু করে কীভাবে দেহ লোপাট করা হবে, সবটাই ছিল পরিকল্পনামাফিক। প্রাথমিকভাবে হরিদেবপুরের খালেই দেহ ফেলে দিতে চেয়েছিল তারা। তবে প্রীতির বাবার মারাত্মক ছক কষে মাগুর মাছের ভেড়িতে অয়নের দেহ ফেলার পরিকল্পনা করা হয়।

দশমীর রাতে বাড়িতে ডেকে এনে খুন করা হয় অয়ন মণ্ডলকে। মেয়ের সঙ্গে বিয়ের টোপ দিয়ে তাঁকে বাড়িতে ডেকে পাঠায় প্রীতির মা রুমা জানা। ব্যাপক মারধরের পর আধমরা অবস্থা হয়েছিল অয়নের। তখনও মৃত্যু হয়নি তাঁর। মৃত্যু নিশ্চিত করে ওড়িশা থেকে ধৃত প্রীতির ভাইয়ের বন্ধু। এরপর দেহ লোপাটের জন্য ভাড়া করা হয়েছিল একটি ছোট গাড়ি।

জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রথমে হরিদেবপুরের একটি খালে অয়নের দেহ ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের। তবে খালের জলে ভেসে উঠতে পারে দেহ। সহজেই মৃতদেহ চিহ্নিত করা যেত। সেই সম্ভাবনা এড়াতেই প্রীতির বাবার নির্দেশে গাড়ি চালক আর একজন কিশোর জুলপিয়া রোডে হাইব্রিড মাগুর মাছের ভেড়িতে দেহ লোপাটের জন্য বেরিয়ে পড়ে।

হাইব্রিড মাগুর মাছ আমিষভোজী। মানুষের দেহাংশও খেয়ে ফেলে। অয়নের দেহ সেই মাছের পেটে চালান করে দেওয়াই ছিল দীপকের প্ল্যান। এই পরিকল্পনা সফল হলে অয়নের দেহই খুঁজে পাওয়া যেত না। সেক্ষেত্রে তথ্যপ্রমাণের অভাবে অনায়াসেই ছাড় পেয়ে যেত জানা পরিবার।

প্ল্যানমাফিক জুলপিয়া রোডে দু’টি মাছের ভেড়িতে দেহ ফেলার চেষ্টা করে ওড়িশা থেকে ধৃত কিশোর। কিন্তু, রাতে ভেড়িতেই পাহারা দেয় লোক। তাঁদের দেখতে পেয়ে মাগুরের ভেড়িতে দেহ লোপাটের প্ল্যান বদল হয়। দীপকের বাবার নির্দেশেই তৈরি তখন মগরাহাটের একটি পরিত্যক্ত জমিতে অয়নের দেহ ফেলে দেয় ওই কিশোর।

Previous articleকরোনা অতীত! টিকিট বিক্রি করে ৯২ শতাংশ আয় বাড়ল রেলের
Next articleমোমিনপুরের ঘটনায় NIA ধারা যুক্ত না করায় ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট