কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজে বিল্ডিং দুর্নীতির মামলায় অধ্যক্ষকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ

কলেজের অধ্যক্ষ অমিত কুমার দে কে প্রায় ঘণ্টা দুয়েক জিজ্ঞাসাবাদ করেন তারা

কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজে বিল্ডিং দুর্নীতির মামলা নিয়ে নাজেহাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। আদালতের নির্দেশে শুক্রবার তদন্তে এলেন ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলে ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর অতিরিক্ত জেলা শাসক শ্বেতা আগারওয়াল, কাঁথির মহকুমা শাসক রেনু সোগান, তমলুকের ইঞ্জিনিয়ার সহ আরও দুই জন।

কলেজের অধ্যক্ষ অমিত কুমার দে কে প্রায় ঘণ্টা দুয়েক জিজ্ঞাসাবাদ করেন তারা। জানা গিয়েছে, কলেজ বিল্ডিং নির্মাণে টেন্ডার কিভাবে ডাকা হয়েছিল, কাদের বরাত দেওয়া হয়েছিল এবং সঠিক সময়ে সেই কাজ শেষ হয়েছিল কিনা, এমন নানান প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছেন তদন্তকারীরা।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজে বিল্ডিং নির্মাণ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। কোন টেণ্ডার ছাড়াই বিল্ডিং নির্মাণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। বিল্ডিং নির্মাণের অনৈতিক অভিযোগ তুলে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী আবু সোহেল। কলেজের বিল্ডিং নির্মাণের ক্ষেত্রে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন। মামলা অনুযায়ী তদন্ত শুরু করে কাঁথি থানার তদন্তকারীরা।

আরও পড়ুনঃ বিরাট আর্থিক ধাক্কার মুখে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড : সূত্র
এরপর হাইকোর্ট নির্দেশ দেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলাশাসকের তদন্ত করে আগামী ১৮ অক্টোবরের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন আদালত। এরপর পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল তৈরি করে তদন্ত শুরু করে।
মূলত যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি শিশির পুত্র সৌমেন্দু অধিকারী। কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজের বিল্ডিং নির্মাণে তৎকালীন কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ছিলেন সৌমেন্দু অধিকারী।

Previous articleপর্ষদের নয়া সিদ্ধান্ত, ১৮ অক্টোবর রাজ্যের ডি.এল.এড কলেজের প্রিন্সিপালদের তলব
Next articleরাজ্যের প্রকল্পগুলি খতিয়ে দেখতে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা করবে রাজ্য