ফার্সিতে ‘হিন্দু’ শব্দের অর্থ ‘অশ্লীল’! কংগ্রেস নেতার মন্তব্যে বিতর্ক

হিন্দু(Hindu) শব্দের উৎপত্তি নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্ক বাড়ালে বরিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা সতীশ লক্ষ্মণরাও জারকিহোলি(Satish Laxmanrao Jarkiholi)। তার দাবি হিন্দু শব্দের সঙ্গে ভারতের কোন সম্পর্ক নেই। এটি একটি ফার্সি শব্দ। যার অর্থ ‘অশ্লীল’। দেশের মানুষ কি করে এই ধরনের একটি শব্দকে গ্রহণ করতে পারে যার সঙ্গে ভারতের কোনও সম্পর্ক নেই।

কর্নাটকের বেলগাভি জেলায় এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কর্নাটক কংগ্রেসের কার্যকরী অধ্যক্ষ তথা প্রাক্তন মন্ত্রী বলেন, হিন্দু শব্দের উৎপত্তি কোথা থেকে? এটা কি আদেও আমাদের দেশের কোনও শব্দ? এরপর নিজেই তার জবাব দিয়ে বলেন, ‘হিন্দু’ শব্দ হলো একটি ফার্সি শব্দ যা মূলত ব্যবহৃত হতো ইরান, ইরাক, উজবেকিস্তান, কাজাখিস্তানের মতো এলাকাগুলোতে। তিনি প্রশ্ন করেন হিন্দু শব্দের সঙ্গে ভারতের কি কোন সম্পর্ক রয়েছে? যদি এই শব্দের সঙ্গে ভারতের কোন সম্পর্ক না থাকে তবে কেন আপনারা একে গ্রহণ করবেন? এই বিষয় নিয়ে তর্ক হওয়া উচিত। কর্ণাটকের কংগ্রেস নেতার এহেন মন্তব্যের পর স্বাভাবিকভাবেই বিতর্ক চরম আকার নেয়। এই ধরনের মন্তব্য হিন্দুদের অপমান বলে তোপ দাগে বিজেপি।

বিজেপি তরফে কংগ্রেসকে তোপ দেগে বলা হয়েছে, এ ধরনের মন্তব্যে সরাসরি হিন্দুদেরকে অপমান করা হয়েছে। হিন্দুরা এই অপমান সহ্য করবে না। কংগ্রেসের উচিত মানুষের সংস্কৃতি ও তাদের ভাবনাকে সম্মান করা কোন রকম বিভ্রান্তি তৈরি করা নয়। পাশাপাশি কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছে, এই ধরনের মন্তব্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। কংগ্রেস সমস্ত ধর্ম ও তাদের সংস্কৃতিকে সম্মান করে। এই ধরনের মন্তব্য কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। যদিও নিজের মতো থেকে পিছু হটতে নারাজ ওই কংগ্রেস নেতা তার দাবি, “আমি যা বলেছি বেশ করেছি। আমার মন্তব্যে ভুল কিছু নেই। এই ফার্সি শব্দটি (হিন্দু) কী ভাবে এসেছে সে সম্পর্কে শত শত নথি রয়েছে। স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর ‘সত্যার্থ প্রকাশ’ গ্রন্থ, ডক্টর জিএস পাটিলের বই ‘বাসব ভারত’ এবং বাল গঙ্গাধর তিলকের ‘কেশরী’ সংবাদপত্রেও এর উল্লেখ রয়েছে। এগুলি মাত্র তিন-চারটি উদাহরণ। যে কোনও ওয়েবসাইটে এরকম অনেক নিবন্ধ আছে। আপনারা দয়া করে এই সব নথিগুলি পড়ে দেখুন।”

Previous articleমহারাষ্ট্র ও মধ্যপ্রদেশে পথ দুর্ঘটনায় মৃত৭, আহত বহু
Next articleনারকীয়: মহারাষ্ট্রে খু*ন করে কাটা মু*ণ্ডু নিয়ে রাস্তায় ফুটবল !