দেশের ৫০তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন চন্দ্রচূড়

দেশের ৫০তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন ধনঞ্জয় যশবন্ত চন্দ্রচূড়। বুধবার সকালে তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এদিন রাষ্ট্রপতি ভবনেই বিদায়ী প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের স্থলাভিষিক্ত হন তিনি। তাঁর বাবা ওয়াই ভি চন্দ্রচূড় ছিলেন ভারতের সবচেয়ে বেশিদিন থাকা প্রধান বিচারপতি। প্রায় ৭ বছরেরও বেশি সময় তিনি ওই দায়িত্বে ছিলেন।এবার ছেলে চন্দ্রচূড়ও সেই পদে উন্নীত হলেন।এদিন শপথ নেওয়ার পরেই চন্দ্রচূড় একটি সংবাদমাধ্যমকে তাঁর সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “আমার কাজ কথা বলবে।”

আরও পড়ুন:সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বুধবার শপথগ্রহণ

প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণার অবসরের পর গত ২৭ অগস্ট দেশের প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ নেন বিচারপতি ললিত। প্রথা অনুযায়ী, দেশের প্রধান বিচারপতি অবসরগ্রহণের আগে পরবর্তী প্রধান বিচারপতির নাম ঘোষণা করে যান। সেই প্রথা মেনে গত ১১ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের সব বিচারপতিদের নিয়ে বৈঠক করে কেন্দ্রের হাতে চিঠি তুলে দেন প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত। অবশেষে সেই প্রস্তাব মেনে চন্দ্রচূড়কেই নিযুক্ত করা হল দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হিসেবে। ২০২৪ সালের ১০ নভেম্বর পর্যন্ত অর্থাৎ পরবর্তী দু’বছর চন্দ্রচূড়ই থাকবেন দেশের প্রধান বিচারপতি। তাঁর বাবা এই পদে ছিলেন ১৯৭৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯৮৫ সালের ১১ জুলাই পর্যন্ত।

প্রসঙ্গত, ১৯৫৯ সালের ১১ নভেম্বর জন্ম হয় ধনঞ্জয় যশবন্ত চন্দ্রচূড়ের। সেন্ট স্টিফেন্স কলেজ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করেন এলএলবি। আমেরিকার হার্ভার্ড ল স্কুল থেকে এলএলএম এবং ডক্টরেটও করেন। সুপ্রিম কোর্টের পাশাপাশি বম্বে হাইকোর্টেও প্র্যাকটিস করেছেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। ইউনর্সিটি অফ মুম্বইয়ে তুলনামূলক সাংবিধানিক আইন বিষয়ের অধ্যাপনাও করেছেন। ১৯৯৮ সালে তাঁকে সিনিয়র অ্যাডভোকেট নিয়োগ করে মুম্বই হাইকোর্ট। ওই বছরই অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল হন এবং বিচারপতি নিযুক্ত হন।২০১৩ সালে এলাহাবাদ হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে উন্নীত হন চন্দ্রচূড়।

এর তিন বছর পরে ২০১৬ সালের মে মাসে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির পদে অভিষেক হয় তাঁর। অযোধ্যা মামলার মতো বহু গুরুত্বপূর্ণ মামলায় বেঞ্চের অংশ ছিলেন তিনি। সমকামী সম্পর্ককে অপরাধের আওতা থেকে বের করার ঐতিহাসিক রায়দানকারী বেঞ্চেও ছিলেন চন্দ্রচূড়।

Previous articleটি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল, টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত কিউই অধিনায়কের
Next articleমাতৃহারা দেবশ্রী রায়, শোকে মুহ্যমান অভিনেত্রী