নন্দীগ্রামের প্রতিবাদী মঞ্চে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ‘বিস্ফোরক’  কুণাল

কুণাল বলেন, জরুরিভিত্তিতে আবার নন্দীগ্রামে এসেছি। গতকাল রাতে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির মঞ্চ ভেঙে আগুন লাগিয়েছে বিজেপি। সক্রিয় কর্মী গোপালকে খুনের চেষ্টা করেছে। প্রতিবাদে গোকূলনগরে সকাল থেকে মানুষ রাস্তায়।

নন্দীগ্রামে এবার বিজেপির বিরুদ্ধে উঠল বড় অভিযোগ। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশে শুক্রবার ফের নন্দীগ্রামে গিয়েছেন কুণাল ঘোষ ও শশী পাঁজা।এদিন নন্দীগ্রাম রওনা হওয়ার আগে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, বিজেপি আমাদের মঞ্চ পুড়িয়ে দিয়েছে৷ হামলা হয়েছে। এত রাগ শুভেন্দু নিতে পারছে না। অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশে জরুরি ভিত্তিতে আমরা যাচ্ছি। আমরা অশান্তি হোক চাই না। স্থানীয় মানু্ষরা ছিলেন সেখানে। আমাদের সভায় সব স্থানীয় লোকেরা ছিল। বাইরে থেকে লোক এনে হামলা চালিয়েছে শুভেন্দু অধিকারী।

প্রতিবাদীদের সঙ্গে কথা বলার পর কুণাল বলেন, জরুরিভিত্তিতে আবার নন্দীগ্রামে এসেছি। গতকাল রাতে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির মঞ্চ ভেঙে আগুন লাগিয়েছে বিজেপি। সক্রিয় কর্মী গোপালকে খুনের চেষ্টা করেছে। প্রতিবাদে গোকূলনগরে সকাল থেকে মানুষ রাস্তায়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সটান নন্দীগ্রামে ডাঃ শশী পাঁজা এবং আমরা। চলে এসেছেন জেলা নেতৃত্ব। ধর্ণা চলল। তার ফাঁকে কাছের এক বাড়ির উঠোনে পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হল। হামলাকারী এবং তাদের মদতদাতাদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশকে তিন দিন সময় দেওয়া হল। সেইসঙ্গে ঠিক হল, এলাকায় বোমা, অস্ত্র উদ্ধারে তল্লাশি করতে হবে পুলিশকে। কোনো রাজনৈতিক রং না দেখে গ্রেপ্তার করতে হবে। পরের কর্মসূচি মঙ্গলবার ঘোষণা হবে।

মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, ওরা শহিদ বেদির মালা খুলে দিয়েছে। ওরা মাকে অপমান করেছে।ওরা আমাকে আপনাকে অপমান করেছে।হার্মাদদের নিয়ে এই তান্ডব চালানো হয়েছে।আসলে হার্মাদ সবসময় হার্মাদই হয়। এই ঘটনায় প্রমাণ হয়ে গেল যে বিজেপি কতটা দেউলিয়া।

কুণাল আরও জানিয়েছেন, আমাদের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দিয়েছেন, নন্দীগ্রামের আবেগ যেখানে তৃণমূল কংগ্রেস সেখানে। নন্দীগ্রামে শুভেন্দুরা ভীত, উদ্বিগ্ন। এলাকার মানুষ ওদের প্রত্যাখ্যান করেছে। বিজেপি-তে ধস নেমেছে। তাই রাতে গোকূলনগরে BUPCর মঞ্চ পুড়িয়ে হামলা করল বিজেপি। জখম একজন। গতকাল সকালে আমাদের অনুষ্ঠানে আপনারা স্থানীয়রা ছিলেন। আর শুভেন্দুর সঙ্গে কেউ নেই। তাই চন্ডীপুর, খেজুরি, হেঁড়িয়া থেকে লোক নিয়ে হার্মাদদের সঙ্গে নিয়ে এখানে ঢুকতে হয়।

গতকালের শহিদ স্মরণ মঞ্চে রাতের অন্ধকারে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু করেন।জানা গিয়েছে, গোপাল গায়েন নামে এক জন জখম হয়েছেন।সকাল থেকে শুরু হওয়া প্রতিবাদ কর্মসূচি বিকেলেও চলছে।তাদের দাবি, পুলিশ অভিযুক্তদের দ্রত গ্রেফতার করুক।

 

Previous articleটি-২০ ফর্ম‍্যাটে কি শেষ রোহিত-বিরাট যুগ? বোর্ডের ইঙ্গিত সেদিকেই
Next article“সিএএ সংবিধান বিরোধী”, বিধানসভায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব স্পিকার