অবৈধভাবে মোবাইল ব্যবহারই কাল! ইউক্রেন হাম*লায় লাফিয়ে বাড়ছে রুশ সেনা মৃত্যু*র সংখ্যা

এর আগে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছিল, পূর্ব ইউক্রেনে রুশ সেনার অস্থায়ী ক্যাম্পে চারটি মিসা*ইল ছুঁড়েছে ইউক্রেন। যাতে মৃ*ত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৬৩ সেনার।

ইউক্রেনের মিসাইল হামলায় মৃত্যু হল কমপক্ষে ৮৯ রুশ সেনার। আর এই দুর্ঘটনার পিছনে দায়ী একমাত্র সেনাদের অবৈধভাবে মোবাইল ব্যবহারই (Illegal Mobile Use)। এমনই দাবি রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের। ২০২২ সালের শুরুতে ইউক্রেনের (Ukraine) উপরে হামলা চালায় রাশিয়া (Russia)। দুই দেশের মধ্যে শুরু হয় যুদ্ধ (Russia-Ukraine War)। তবে বছর ঘুরলেও সেই যুদ্ধ থামেনি। বিগত এক বছরে লাগাতার হামলার জেরে বিধ্বস্ত ইউক্রেন। এদিকে হাত গুটিয়ে বসে নেই ইউক্রেনও। যুদ্ধের পাল্টা জবাব দিতে শুরু করেছে তারা। বুধবারই রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, ইউক্রেনের মিসাইল হামলার জেরে কমপক্ষে ৮৯ জন সেনার মৃত্যু হয়েছে।

নববর্ষের প্রথম দিনেই ইউক্রেনের উপরে হামলা চালিয়েছিল রাশিয়া। পাল্টা জবাবে গত সপ্তাহের শেষভাগে রাশিয়ার উপরে হামলা চালায় ইউক্রেন। যার তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গেছে, সামরিক নিয়ম ভেঙে মোবাইল ফোন ব্যবহার করছিলেন রুশ সৈনিকরা। তার জেরেই মিসাইল হামলা চালাতে সফল হয়েছে ইউক্রেন। এর আগে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছিল, পূর্ব ইউক্রেনে রুশ সেনার অস্থায়ী ক্যাম্পে চারটি মিসাইল ছুঁড়েছে ইউক্রেন। যাতে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৬৩ সেনার। এই ঘটনার পর রাশিয়ায় প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েন ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin) ও সামরিক কর্তারা। এরপরই উচ্চপর্যায়ের তদন্ত শুরু করে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এরপরই প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, মিসাইল হামলার সাফল্যের অন্যতম প্রধান কারণ ছিল রুশ সেনার মোবাইল ব্যবহার।

উল্লেখ্য, মিসাইল হামলার আগে সৈনিকদের মোবাইলের মাধ্যমেই তাঁদের গতিবিধি জেনে নিয়েছিল ইউক্রেন। এরপর সেনা ছাউনির অবস্থান বুঝে মিসাইল হামলা করা হয়েছে, এমনটাই মত রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের। এরপরই জানানো হয়, হামলায় মৃত অন্তত ৮৯ জন রুশ সেনা। যে সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। যদিও ইউক্রেনের তরফে এই হামলার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

এদিকে, মঙ্গলবার ভিডিয়োবার্তা প্রকাশ করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি (Vlodymyr Zelenseky)। সেই ভিডিয়ো বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়ায় যিনি ক্ষমতায় রয়েছেন, তিনি যুদ্ধে জেতার জন্য যাবতীয় যা কিছু সম্পদ রয়েছে, তা ব্যবহার করে এবং মানবসম্পদকে কাজে লাগিয়ে যুদ্ধের ফলাফল বদলানোর চেষ্টা করবেন। এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আমরা রাশিয়ার সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছি। জঙ্গিদের হার মানতেই হবে। তাদের আক্রমণের যেকোনও প্রচেষ্টাই ব্যর্থ করব আমরা। অন্যদিকে, রাশিয়ার উপরে হামলার পরই সে দেশের অন্দরে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বহু সেনারাই জানিয়েছেন, তাঁরা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে রাজি নন। রাশিয়ান কম্যান্ডাররা তাদের জোর করে যুদ্ধের ময়দানে নামতে বাধ্য করছে।

 

 

Previous articleএক পয়সা দেয় না কেন্দ্র! ফের গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় মেলা ঘোষণার দাবি মমতার
Next articleধর্ম ভিত্তিক নয়, কেন্দ্রের ‘আধুনিক’ সিলেবাসে লেখাপড়া চলবে যোগী রাজ্যের মাদ্রাসায়